গোপালগঞ্জে বাড়ছে আঠাবিহীন বারোমাসী কাঁঠালের চাষ। সারাদেশে এ কাঁঠাল ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে, কাশিয়ানী উপজেলা হর্টিকালচার।
কথায় বলে “পিরিতি কাঁঠালের আঠা”। তবে এবার কাঠালেই আঠা মিলছে না। আর এটি প্রমাণ করেছে ভিয়েতনামি কাঁঠাল। এতে যেমন কষ বা আঠা নেই, তেমনি রোয়াও খুব বেশি শক্ত বা একেবারে নরম নয়। আকারে ছোট এই কাঁঠাল সুস্বাদুও।
২০১৫ সালে ভিয়েতনাম থেকে প্রায় ৫০টি বারোমাসী কাঁঠালের চারা এনে রোপন করা হয় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা হর্টিকালচারে। ২০১৭ সালে প্রথম কাঁঠাল গাছে ফল ধরে। এরপর মাতৃগাছ থেকে কলমের মাধ্যমে চারা উৎপাদন শুরু হয়। এরইমধ্যে প্রায় দেড় হাজারের বেশি চারা বিক্রি হয়েছে।
আগামী ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে সারাদেশে এই আঠাবিহীন কাঁঠাল ছড়িয়ে দেয়ার আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। কাঁঠাল পাকা-কাঁচা দুভাবেই খাওয়া যায়। সাধারণত একটি কাঁঠাল গাছে ফল আসতে ৬ থেকে ৭ বছর সময় লাগে। তবে বারোমাসী এই গাছে মাত্র ৩ বছরেই ফল পাওয়া যায়।