আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সরব হয়ে উঠেছে গাইবান্ধা–৪ সংসদীয় আসন। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের অলি–গলিতে শোভা পাচ্ছে শুভেচ্ছা মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ব্যানার–ফেস্টুন। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সংখ্যায় বেশি। আর বিএনপি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে গোপনে গোপনে। ভোট চাইছেন জাতীয় পার্টি। জোটবদ্ধ নির্বাচন না হলে তারা একক প্রার্থী দিবেন–এমনটাই বলছেন জাতীয় পার্টির নেতারা।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ১৭ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা–৪ আসন। এ সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৯২৪। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লক্ষ ১৬ হাজার ৯৪৯ আর নারী ভোটার ২ লক্ষ ২২ হাজার ৯৬৯ জন। এই আসনে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জাতীয় পাটি, ২০০১ সালে বিএনপি, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও ২০১৮ সালে আবার আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়। বর্তমানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এলজিইডি’র সাবেক প্রধান প্রকৌশলী বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন চৌধুরী এমপি রয়েছেন। তিনি এবারেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন।
এ ছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ প্রধান, সাধারণ সম্পাদক মোকাদ্দেস আলী প্রধান বাদু এবং বিএনপি থেকে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম কায়সার লিংকন, বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক কবির আহমেদ, থানা বিএনপি’র সভাপতি ফারুক আহমেদ ও জাতীয় পাটি থেকে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অধ্যক্ষ মশিউর রহমান মনোনয়ন প্রত্যাশি।
একমাত্র বিএনপি ছাড়া সকলেই ভোটারদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ও দোয়া চেয়ে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ মোড়, রাস্তায় এবং হাট–বাজারগুলোতে ব্যানার ফেষ্টুন টানিয়ে দোয়া আর্শিবাদ চাইছেন। মনোনয়নের ব্যাপারে তারা সকলেই আশাবাদী। এদিকে যদিও নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। কিন্তু গোপনে গোপনে তারা নিচ্ছে নির্বাচনের প্রস্তুতিও। এছাড়া থেমে নেই জাতীয় পাটি। জাতীয় পার্টির নেতা বলছেন, জোটবদ্ধ নির্বাচন না হলে তারাও একক প্রার্থী দিবেন।
আর সাধারণ ভোটারদের দাবি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন। যাতে তারা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। এ ছাড়াও যারা এলাকার উন্নয়ন করবেন এ ধরণের প্রার্থীকেই ভোট দিতে চান ভোটাররা।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ