কোরবানি দেয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। সকল সামর্থবান ব্যক্তির জন্য কোরবান দেয়া ফরয। তবে কোরবানের পশু নির্ধারণের ক্ষেত্রেও কিছু দিক খেয়াল রাখতে হবে। কারণ ইসলামে কোন কোন পশু দিয়ে কোরবানি দেয়া যাবে তা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে পশুর চোখ ও কান ভালোভাবে দেখে নেওয়ার কথা বলেছেন। যাতে চোখ ও কানে কোনো ধরনের খুঁত না থাকে। এ সম্পর্কে হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় একাধিক হাদিস এসেছে। তাহলো–
হজরত হুজাইয়্যা ইবনে আদি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, আমি হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের এ মর্মে আদেশ করেছেন, আমরা যেন কোরবানির পশুর চোখ ও কান উত্তমরূপে দেখে নিই।’ (নাসাঈ)
কোরবানি করার ক্ষেত্রে মুমিন মুসলমানের উচিত, ইসলামি শরিয়তের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী পশু কোরবানি করা। যেসব পশুতে কোরবানি হবে না বা হলেও মাকরূহ হবে; সেসব পশু কোরবানি করা থেকে বিরত থাকার বিকল্প নেই।
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি আদায়ের ক্ষেত্রে উল্লেখিত বিষয়গুলোর প্রতি যথাযথ খেয়াল রেখে কোরবানির পশু নির্বাচন করতে হবে।
আফ/দীপ্ত নিউজ