রমজানে এবার ভোক্তা পর্যায়ে কমল মুরগির দাম। ফলে বাজারে বাড়ছে ক্রেতাদের ভীড়, বৃদ্ধি পাচ্ছে মুরগির চাহিদা। বাজার পরিদর্শনে গিয়ে এমন চিত্র পেয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এ সময় মুরগির দামে কারসাজি করলে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনায় কাজী ফার্মস লিমিটেড, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড, সিপি বাংলাদেশ এবং প্যারাগন পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেড এ চারটি শীর্ষ উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো মুরগির দাম কমানোর ঘোষণা দিলে এবার ভোক্তা পর্যায়ে দাম কমানো হয় মুরগির।
রমজান উপলক্ষ্যে দুই দিনের ব্যবধানে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। পাইকারি ১৭০ টাকা হলেও খুচরা বাজারে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা কেজিতে মিলছে ব্রয়লার।
প্রায় ১৫ দিন পর কাপ্তান বাজারে ব্রয়লার মুরগী কিনতে এসেছেন গেন্ডারিয়ার মো: সোহেল। জানান, দাম বেড়ে যাওয়ায় কমিয়েছিলেন মুরগী খাওয়া। এখন মুরগির দাম কমায় কিনতে এসেছেন।
একই অবস্থা নরসুন্দর তনু চন্দ্র ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শাকিলের। দাম কমে আসায় অনেকদিন পর এসেছেন মুরগির বাজারে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা, জানান দাম কমে আসায় ব্রয়লার মুরগির বিক্রি বেড়েছে।
রাজধানীর কাপ্তান বাজারে পরিদর্শনে যান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জানান, অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পরিদর্শনের সময় সোনালি মুরগি বিক্রির ক্ষেত্রে দামে কারসাজি ও ক্রয় রশীদ দেখাতে না পারায় একটি দোকানকে জরিমানা ও সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়।
আফ/দীপ্ত সংবাদ