পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ৭ পদের ৬টি পদ শূণ্য থাকায় শুধু একজন সহকারী শিক্ষা অফিসার দিয়েই চলছে উপজেলা শিক্ষা বিভাগ। একজন অফিসার ছাড়া আর কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী না থাকায় এ উপজেলার শিক্ষা বিভাগের দাপ্তরিক কাজ মুখ থুবড়ে পড়ার মত অবস্থা হয়েছে।
ইন্দুরকানী উপজেলা শিক্ষা অফিসে মোট পদ সংখ্যা সাতটি। এর মধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসার দুই জন, সহকারী শিক্ষা অফিসার একজন, উচ্চমান সহকারী একজন, নিম্নমান সহকারী একজন, হিসাব সহকারী একজন এবং অফিস সহায়ক একজন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার গত ২৫ জানুয়ারী পিরোজপুর সদর উপজেলায় বদলী হলে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কর্মকার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। তিনিও ৫ এপ্রিলে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় বদলি হয়ে গেছেন। অফিসের নিম্নমান সহকারী গত ৬ এপ্রিলে বদলি হয়ে নাজিরপুরে চলে গেছেন। উচ্চমান সহকারী পদটি ২০০৪ সাল থেকে, হিসাব সহকারী এবং অফিস সহায়ক পদ দুটি ১৩ বছর ধরে শূন্য রয়েছে। ফলে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মো. আহসান কে দিয়েই চলছে ইন্দুরকানী উপজেলা শিক্ষা অফিস।
ইন্দুরকানী উপজেলা শিক্ষা অফিসে গিয়ে দেখা যায় সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মোহাম্মদ আহসান একাই অফিস করছেন। বিভিন্ন কাজের জন্য শিক্ষকদের ভীড় লেগেই আছে।
তিনি জানান, অফিসের লোকবল না থাকায় দাপ্তরিক কাজে দারুণ অসুবিধা হচ্ছে। একা অফিস চালানো সম্ভব না।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কুমারেশ চন্দ্র গাছির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু ইন্দুরকানীতে নয় পিরোজপুর সদর এবং নেছারাবাদেও একই সমস্যা। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানিয়েছি।
এমি/দীপ্ত