এইচএমপি ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর নিউমোনিয়া ছাড়াও মাল্টি অর্গান ফেইলরের (একাধিক অঙ্গের নিষ্ক্রিয়তা) কারণে মৃত্যু হয়েছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি। সানজিদা আক্তার (৩০) নামের এক নারী এইচএমপি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, সানজিদা নামের যে রোগী মারা গেছেন, তিনি এক মাসের বেশি সময় ধরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ওই সময় তিনি বাসার কাছে স্বীকৃত চিকিৎসক নন, তাঁদের কাছে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে আসেন। সেখানে ওই নারীকে অ্যান্টিবায়োটিক ও অক্সিজেন দেওয়া হয়। এর চার দিন পর অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে ঢাকার আরেকটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তখন পরীক্ষায় তাঁর এইচএমপিভি পজিটিভ পাওয়া যায়।
সায়েদুর রহমান বলেন, আসলে এই রোগী হাসপাতালে এসেছিলেন মূলত সেপসিস (রক্তের মাধ্যমে সব শরীরে সংক্রমণ) নিয়ে। তখন তাঁর কালচারে এইচএমপিভির পাশাপাশি সেখানে ক্লেভসিয়েলাজনিত সেপসিসে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসার পরীক্ষা–নিরীক্ষার অংশ হিসেবে তার এইচএমপিভি পজিটিভ ডিটেকটেড হয়। এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানে যেটুকু বলা হচ্ছে, এইচএমপিভির কারণে মৃত্যু হওয়ার ঘটনাটি বিরল। কিন্তু এইচএমপিভি আক্রান্ত ব্যক্তি যদি অন্যান্য রোগে আক্রান্ত থাকেন, নিউমোনিয়া থাকে, ওই সব কেসে অল্প বা অনেক বেশি বয়সী মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সায়েদুর রহমান আরও বলেন, ওই রোগীর থাইরয়েড ডিজফাংশন (অকার্যকর) ছিল। সেপসিসে মাল্টি অরগান ফেইলর হয়ে তিনি মারা গেছেন। এই সেপসিস ও মাল্টি অরগান ফেইলরের রোগীদের যখন ভেন্টিলেটশনে নেওয়া হয়, তখন স্বাভাবিকভাবে এঁদের পরিস্থিতি পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতেও যথেষ্ট খারাপ হয়। এই মৃত্যু মূলত ক্লেবসিয়েলার কারণে সেপসিস (ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ব্যাপক সংক্রমণ) এবং সেই কারণে নিউমোনিয়া এবং মাল্টি অরগান ফেইলরের কারণে মৃত্যু হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই নারী এইচএমপিভি আক্রান্ত ছিলেন। দেশে রুটিন স্ক্রিনিং হলে একটাসংখ্যক মানুষের মধ্যে এইচএমপিভি পাওয়া যাবে। স্বাভাবিকভাবে এই এইচএমপিভি কখনোই মৃত্যুর কারণ হয় না।
আল