আলোচিত ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) চেক প্রতারণার মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাদিকুর রহমান তমাল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে এ মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। এদিন আসামিরা হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৩ মার্চ মামলার বাদী তানভীর হোসেন বিজ্ঞাপন দেখে একটি মোটরসাইকেল কেনা বাবদ ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। তবে নির্দিষ্ট ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও আসামিরা তা সরবরাহ করতে ব্যর্থ হন। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর ইভ্যালি পণ্যের সমমূল্যের একটা চেক প্রদান করেন। এরপর চেকটি নগদায়নের জন্য একাধিক ব্যাংকে জমা দিলে তা ডিজঅনার হয়। এ বিষয়ে সবশেষ গত বছরের ২২ অক্টোবর তাদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। পরবর্তীতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শামীমা নাসরিন ও মো. রাসেলের বিরুদ্ধে বাদী মামলা করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরুর পরপরই কম দামে পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে সাড়া ফেলে অনলাইন মার্কেট প্লেস ইভ্যালি। তবে অর্থ দিয়েও পণ্য না পেয়ে গ্রাহকদের অসন্তোষ বাড়তে থাকে। অভিযোগ বাড়তে থাকার মধ্যে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রাহককে পণ্য বা অর্থ কোনটাই না দেওয়া এবং প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে বের হন ইভ্যালির সিইও। তারপর থেকেই গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের জন্য ‘বিগ ব্যাং’ ক্যাম্পেইনসহ নানা অফার ও পাওনা টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মো. রাসেল। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পুরনো গ্রাহকদের দেনা পরিশোধ শুরু হবে।
এসএ/দীপ্ত নিউজ