সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪
সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমি আমার বাবার লগে চইলে যাব: পুলিশ কনস্টেবলের মা

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

তোমরা কি বন্দুক আনছো, হেইলে কও, ওই বন্দুকটা দিয়া আমার বুকটার ওপর একটা গুলি করো। “আমি আমার বাবার লগে চইলে যাব”। কথা গুলো বলছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে খুলনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষে নিহত বাগেরহাটের সন্তান পুলিশ কনস্টেবল সুমন কুমার ঘরামী’র মা গীতা রানী ঘরামী।

ছেলের মৃত্যুর খবর সইতে না পেরে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন তিনি। পতিবেশি ও স্বজনেরা কিছুতেই সান্ত্বনা দিতে পারছেন না তাকে। সন্তান হারিয়ে সুমনের বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতা সুশীল ঘরামী হয়ে পরেছেন বাকরুদ্ধ।

শুক্রবার (২ আগষ্ট) বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে খুলনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষে নিহত হন পুলিশ কনস্টেবল সুমন কুমার ঘরামী। এদিন (০৩ আগষ্ট) সন্ধ্যায় পুলিশের গান সেলুটের মধ্যদিয়ে সমাহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান।

এছাড়া এদিন বিকালে সুমন ঘরামীর মরদেহ বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার মালিপাটন গ্রামে পৌছালে স্বজনদের কান্না ভারি হয়ে ওঠে পরিবেশ। নিহত সুমন ঘরামীর ৬ বছরের মেয়ে স্নিগ্ধা ঘরামীর আর্তনাদে উপস্থিত লোকজন চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। সুমন ঘরামীকে সমাহিত করার সময় বৃষ্টি উপেক্ষা মলিপাটন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত হন।

নিহত সুমন কুমার ঘরামী বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের মালিপাটন গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সুশীল কুমার ঘরামির ছেলে। নিহত সুমন তাঁর স্ত্রী ও একমাত্র মেয়ে স্নিগ্ধা ঘরামীকে নিয়ে খুলনার পূজাখোলা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তিনি খুলনা মহানগর পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনারের (সোনাডাঙ্গা জোন) দেহরক্ষী ছিলেন।

মামুন/ আল/ দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More