ব্যভিচারের শাস্তি হিসেবে আফগানিস্তানে নারীকে পাথর ছুড়ে হত্যা করা হবে বলে জানিয়েছে তালেবান সরকার।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি অডিও বার্তায় তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এ ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানায়।
বার্তায় আখুন্দজাদা বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নারীদের অধিকারের পক্ষে যে ওকালতি করছে তা শরিয়াহবিরোধী। আপনারা বলেন, পাথর মেরে হত্যা করা নারী অধিকারের লঙ্ঘন। কিন্তু আমরা শিগগিরই ব্যভিচারের শাস্তি কার্যকর করব। আমরা নারীদের জনসমক্ষে বেত্রাঘাত করব। আমরা তাদের জনসমক্ষে পাথর মেরে হত্যা করব।“
তিনি আরও বলেন, “আমি আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করি আর তোমরা শয়তানের প্রতিনিধিত্ব কর। কাবুল দখল নিয়েই তালেবানের কাজ শেষ হয়নি, এটি কেবল শুরু মাত্র।“
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এই ঘোষণায় ভীতি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আফগান মানবাধিকারকর্মীরা। তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতার সুযোগে নারীদের প্রকাশ্যে পাথর মারার প্রথা ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছে তালেবান।
আইনজীবী ও আফগান মানবাধিকার সংস্থা উইমেনস উইন্ডো অফ হোপের প্রধান সাফিয়া আরেফি বলেছেন, ঘোষণাটি আফগান নারীদের ১৯৯০–এর দশকে তালেবান শাসনের অন্ধকারতম দিনে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে আফগানিস্তানের নারীরা অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ