পূর্ব শত্রুতা ও মাদক সেবনের ভিডিও ফাঁস করার জেরে কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ নেতা এনামুলকে গলা কেটে হত্যার প্রধান আসামি আমান ও সাঈদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (২১ মে) দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসফাকুজ্জামান, মো. কামরান হোসেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেস বড়ুয়া, কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাম্মদ সনজুর মোরশেদসহ অন্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, গত ১৯ মে কুমিল্লার দুর্গাপুরের আলেখারচর দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদের সামনে দুষ্কৃতকারীরা স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হককে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। হত্যার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে হত্যাকারীরা জড়ো হয়েছিলো একই মসজিদের জুম্মার নামাজে। আগের দিন রাতে পরিকল্পনা অনুয়ায়ী ছুরি সংগ্রহ করা হয়েছিলো। নামাজ শেষ করে যাওয়ার পথেই এনামুলকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানায়, গত ইউপি নির্বাচন ও মসজিদ কমিটি নিয়ে জহির ও এনামুলের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। সর্বশেষ জহিরের ফেন্সিডিল খাওয়ার ভিডিও প্রকাশ ও এই ভিডিও নিয়ে এনামুলের প্রচারণার কারণে সম্প্রতি এ বিরোধ চরমে উঠে। তাছাড়া এনামুলের সাথে আসামী আমান উল্ল্যাহ ও সাঈদ এর ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল। এসব বিষয় নিয়ে বিরোধের জেরে এ হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ খাগড়াছড়ি থেকে আসামি কাজী নিজাম উদ্দিন, মোঃ জাকির হোসেন, কাজী আমান উল্লাহ ও আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার করা হয়েছে খুনে ব্যবহৃত সুইস গিয়ারটি।
শাকিল মোল্লা/আফ/দীপ্ত নিউজ