বাজারে সরবরাহ বাড়াতে ৪৩টি প্রতিষ্ঠানকে আরও ১৯ কোটি ৩০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সোমবার (১৮ নভেম্বর) ডিম আমদানির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমদানি–রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরকে চিঠি দিয়েছে।
ডিম আমদানির অনুমতি দিলেও এ ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছে সরকার। এগুলো হলো–
১) বিশ্ব প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী বার্ড ফ্লুমুক্ত জোনিং বা কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের স্বপক্ষে রপ্তানিকারক দেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জোনিং বা কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের সার্টিফিকেট বা ঘোষণা দাখিল করতে হবে।
২) আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেয়া এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত মর্মে সনদ দাখিল করতে হবে।
৩) সরকার–নির্ধারিত শুল্ক–কর পরিশোধ ও অন্যান্য বিধিবিধান প্রতিপালন করতে হবে।
৪) ডিম আমদানির প্রতি চালানের ১৫ দিন আগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে।
৫) আমদানির অনুমতি পাওয়ার পরবর্তী ৭ দিন পর পর অগ্রগতি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে।
৬) আমদানির অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এর আগে, গত অক্টোবর মাসে (২৩ অক্টোবর ও ৭ অক্টোবর) দুই দফায় ১৯ প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৮ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। চলতি বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ অনুমতি বলবৎ থাকবে।
এসএ