যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর)। ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। এই নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিশ্বজুড়ে আগ্রহ থাকে তুঙ্গে। কিছু জরিপে কমলা এগিয়ে থাকলেও ফলাফলের অনিশ্চয়তা এখনো রয়ে গেছে।
সাধারণত নভেম্বরের প্রথম মঙ্গলবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে ভোটগ্রহণ একযোগে শুরু হলেও সময় অঞ্চলের ভিন্নতার কারণে ভোটগ্রহণ শেষ হতে সময়ের ফারাক থাকে।
নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল সাধারণত নির্বাচনের দিন রাতেই আংশিকভাবে জানা যায়। তবে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা হতে বেশ কিছুটা সময় লাগতে পারে। বেশিরভাগ রাজ্যেই ভোট গণনা দ্রুত সম্পন্ন হলেও কিছু রাজ্যের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটি জটিল ও সময়সাপেক্ষ হয়ে থাকে। বিশেষ করে মেইল–ইন ব্যালট বা পোস্টাল ভোট গণনার ক্ষেত্রে আরও সময় প্রয়োজন হয়, যা চূড়ান্ত ফলাফল জানাতে বিলম্ব সৃষ্টি করতে পারে।
২০২০ সালের নির্বাচনে দেখা গেছে, ভোটের পরদিনই চূড়ান্ত ফলাফল জানা যায়নি। তখন করোনা মহামারির কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ পোস্টাল ব্যালট ব্যবহার করেছিলেন। ফলে গণনায় বেশ কয়েক দিন লেগে যায়। একই ধরনের পরিস্থিতি এবারের নির্বাচনেও হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভোটাররা যদি বড় পরিসরে পোস্টাল ভোটিংয়ের দিকে ঝুঁকে থাকেন, তাহলে ভোট গণনায় কিছুটা সময় লাগবে।
এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে আইনি চ্যালেঞ্জের কারণেও ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব হতে পারে। বিভিন্ন পক্ষ থেকে ভোটের বৈধতা নিয়ে আপত্তি উঠলে আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়, যা চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের সময়সীমা বাড়িয়ে দেয়।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফলাফল দ্রুত জানার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবেন, তবে মেইল–ইন ব্যালট এবং আইনি চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলো নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময়কে প্রভাবিত করতে পারে। তাই পুরোপুরি ফলাফল জানতে ভোটের পর বেশ কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে।