প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আজ রবিবার (১৩ অক্টোবর) শেষ হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গোৎসব। মর্ত্য ছাড়বেন দুর্গতিনাশিনী। ফিরবেন কৈলাসে।
দেবী দুর্গাকে বিদায় দিয়ে এই উৎসবের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও একটি বছর। আর তাই মণ্ডপে মণ্ডপে এখন বিষাদের ছায়া। ঢাক–কাঁসরের বাদ্যি–বাজনা, আরতি, পূজা অর্চনায় কেবলই দেবী দুর্গার বিদায়ের আয়োজন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে মর্ত্যলোকে আসেন দেবীদুর্গা। তার এ ‘আগমন ও প্রস্থানের’ মধ্যে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে উৎসব। মহালয়ার মধ্যদিয়ে ২ অক্টোবর এবারের দুর্গোৎসবের ক্ষণ গণনা শুরু হয়।
এদিকে, বিজয়া শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। নিরাপত্তা নিশ্চিতে সড়কে থাকবে ট্রাফিক পুলিশ। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে বিজয়া শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন টিম ও সোয়াট দল সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, পলাশী মোড় ও বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় তিনটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। পলাশীর মোড়, রায় সাহেব বাজার ও ওয়াইজঘাটে স্থাপন করা হয়েছে তিনটি ওয়াচ টাওয়ার। এছাড়া ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন টিম ও সোয়াট দল সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।
বিসর্জন শোভাযাত্রার সম্ভাব্য রুট হলো: ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে বের হয়ে পলাশী মোড়—জগন্নাথ হল—কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার—দোয়েল চত্বর—হাইকোর্ট বটতলা—সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল—পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স—নগর ভবন—গোলাপশাহ মাজার—বঙ্গবন্ধু স্কয়ার—গুলিস্তান—নবাবপুর লেভেল ক্রসিং—নবাবপুর রোড—মানসী হল ক্রসিং—রথখোলার মোড়—রায়সাহেব বাজার মোড়—শাঁখারিবাজার—জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়—সদরঘাট বাটা ক্রসিং—পাটুয়াটুলী মোড়—সদরঘাট টার্মিনাল মোড় হয়ে ওয়াইজঘাট গিয়ে শেষ হবে।
উল্লেখ্য, বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে আজ সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ স্যাটেলাইট টেলিভিশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত হবে বিশেষ সংখ্যা ও নিবন্ধ।
এসএ