দুর্গাপূজার টানা ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পর্যটকরা ছুটে আসছেন কক্সবাজারে। পর্যটকদের পাদচারণায় মুখর এখন হিমছড়ি, ইনানী বিচ, দরিয়া নগর পাটুয়ার টেকসহ সবগুলো স্পট।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সরকারি ছুটি উপলক্ষে ২ দিন সবগুলো হোটেলে শতভাগ বুকিং রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটকদের যাতায়াত নিরুৎসাহিত করায় কক্সবাজারে বেড়েছে পর্যটক। তাদের নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব উপলক্ষে ছুটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাপ্তাহিক ছুটিও। আর এই সুযোগে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে নেমেছে পর্যটকের ঢল।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এস এম কিবরিয়া বলেন, আমাদের মাধ্যমে অনেকেই এসেছেন কক্সবাজারে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সফর বাতিল করে অনেক পর্যটক এখন কক্সবাজারে। পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করার কারণে কক্সবাজারে বেড়ে গেছে পর্যটকের আগমন। তবে সেন্টমার্টিন যেতে পারলে আমাদের বুকিং আরও বেড়ে যেত।
কক্সবাজার কলাতলী মেরিন ড্রাইভ রোড হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মৌখিম খান বলেন, শুক্রবার–শনিবার সবগুলো হোটেলের শতভাগ বুকিং হয়েছে। বৃহস্পতিবার ও রবিবার কিছুটা কম। তবে সব মিলিয়ে ভালো ব্যবসা হবে এবার।
কক্সবাজারে সাড়ে চার শতাধিক হোটেল–গেস্ট হাউস রয়েছে। তার মধ্যে স্টার মানের হোটেল রয়েছে অর্ধশত। এসব স্টার মানের হোটেলে শতভাগ বুকিং রয়েছে বলে জানিয়েছেন হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ–সভাপতি আব্দুল কায়ুম চৌধুরী।
কক্সবাজার রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম ডালিম বলেন, আমাদের প্রায় সাড়ে তিনশতাধিক রেস্টুরেন্ট রয়েছে। অনেকদিন পর সবগুলো রেস্টুরেন্ট খুলে ব্যবসা করছে। মন্দার কারণে আমাদের অনেক রেস্টুরেন্ট এতদিন বন্ধ ছিল। আশা করি এখন থেকে ব্যবসা ভালো হবে।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার আল আসাদ মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম পিপিএম বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে আমাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও রয়েছে। আমরা আইটির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিতের কাজ করছি। টহলগুলো অব্যাহত থাকবে সব সময়।