বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত ৭১টি মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যার মধ্যে ২৭টি এমএলএআরের জবাব পেয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সভা শেষে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুদকের মহাপরিচালক বলেন, বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত ৭১টি মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠানো হয়েছে। আজ পর্যন্ত ২৭টি এমএলএআরের জবাব পেয়েছি। পাচার করা অর্থের বিষয়ে যথাযথ তথ্য পরে জানাতে পারব। আজ আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলাপে এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি।
তিনি বলেন, দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সে বিষয়টি আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সামনে উপস্থাপন করেছি। যেসব দেশে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হয়েছে সে অর্থ ফিরিয়ে আনতে তারা যাতে সহযোগিতা করে সে বিষয়টি আমরা তাদের বলেছি। বৈঠকে আমরা তাদের যেসব দেশে অর্থ পাচার হয়েছে সেই দেশগুলোর নাম উল্লেখ করেছি, আশা করছি ওইসব দেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে তারা আমাদের সহযোগিতা করবে।
এসময় দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ও সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন, পরিচালক আবদুল্লাহ আল জাহিদ ও গোলাম শাহরিয়ারের সমন্বয়ে একটি টিম সংস্থাটির পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, সভায় দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিনিধি দলকে অবহিত করা হয়। এছাড়া, দুর্নীতি দমন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল তাদের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস ফর ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি), বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ধারাবাহিকভাবে দুদকের সঙ্গে পাচারকৃত অর্থ ফেরতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সভা করেছে।
বৈঠকগুলোতে গুরুত্ব পেয়েছিল দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত, বিশেষ করে মানিলন্ডারিং, সাইবার ক্রাইম, আর্থিক লেনদেনের তদন্তের ক্ষেত্রে ফরেনসিক অ্যানালাইসিস, ট্রেডবেইজড, মানিলন্ডারিং, অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল, সম্পদ পুনরুদ্ধার, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘটিত আর্থিক ক্রাইম, মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স, তথ্য বিনিময়সহ বিভিন্ন ইস্যু।
সুপ্তি