নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে গঠিত ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ আজ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করছে। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কারে প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করবে এ কমিটি।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কমিটির আত্মপ্রকাশ হবে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন স্তরের জনগণের অংশগ্রহণ এবং সহস্রাধিক শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসের নিকৃষ্টতম ফ্যাসিস্ট শাসক শেখ হাসিনার পতন ঘটেছে। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে, তবে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান যে নতুন রাজনৈতিক ভাষা ও জনগোষ্ঠীর সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে, তা বাস্তবায়ন করতে হলে বাংলাদেশকে নতুন করে গঠন করতে হবে। গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে সমাজে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষ ও সামাজিক–সাংস্কৃতিক উদ্যোগের সঙ্গে মত বিনিময়ের মাধ্যমে নতুন ঐতিহাসিক বোঝাপড়ায় উপনীত হওয়া এবং সেই মোতাবেক দেশের জনগণকে সংগঠিত করাই এই কমিটির অন্যতম উদ্দেশ্য।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের পর দেশের ৬৪ জেলা ও ১২ মহানগর এবং থানা পর্যায়ে নাগরিক কমিটি গঠন করা হবে।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বহন করে এর ধারাবাহিকতায় জাতীয় নাগরিক কমিটি করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের পর দেশের ৬৪ জেলা, ১২ মহানগর এবং থানা পর্যায়ে নাগরিক কমিটি গঠন করা হবে, যা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপে প্রয়োজনীয় সংস্কারে প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করবে।‘
এমবি/এসএ/দীপ্ত সংবাদ