তিন মাস নিষেধাজ্ঞা থাকার পর ১ সেপ্টেম্বর (রবিবার) থেকে বনজীবী ও পর্যটকদের জন্য খুলছে সুন্দরবনের দুয়ার।
বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) বন বিভাগ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে জলভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪ দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার; যা পুরো সুন্দরবনের আয়তনের ৩১ দশমিক ১৫ শতাংশ। সুন্দরবনের জলভাগে ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া পাওয়া যায়।
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার খলসীবনের গ্রামের শিবপদ বিশ্বাস প্রায় ৩০ বছর ধরে সুন্দরবনে কাঁকড়া ও মাছ শিকার করেন। তিনি বলেন, ‘তিনমাস অনেক অসুবিধা ছিলাম। বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে ছেলেসহ আগামী সপ্তাহে বনে যাব।‘
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের (টোয়াস) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম বলেন, ‘আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া শেষ। তবে এখন পর্যন্ত কোনো বুকিং পাইনি। দেশের এই পরিস্থিতিতে এই সিজন কীভাবে চলবে তা নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি।‘
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, সুন্দরবন শুধু জীববৈচিত্র্য নয়, মৎস্য সম্পদেরও আধার। ১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলে ও পর্যটকদের সুন্দরবনে ঢোকার পাস (অনুমতি) দেওয়া হবে। নির্ধারিত ফরেস্ট স্টেশনগুলোকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, জুন থেকে আগস্ট—এই তিন মাস প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবনের নদী ও খালে থাকা বেশির ভাগ মাছ ডিম ছাড়ে। এ কারণে গত ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৩ মাস ইকো–ট্যুরিজমসহ বনজীবীদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ