বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী ইমন (২২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
রবিবার (১৮ আগষ্ট) ভোর ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান তিনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মো. ইমন গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন এলাকার মো. জুলহাসের ছেলে। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে ইমন ছিলেন বড়। তিনি টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর মনিরুজ্জামান খান বিএম কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করে হেমনগর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হন।
নিহত ইমনের বন্ধু ইমরান হোসেন জানান, গত ৪ আগস্ট দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াই এলাকায় আন্দোলনকারী ও পুলিশের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন ইমন। আহত অবস্থায় অন্য শিক্ষার্থীরা তাঁকে প্রথমে উত্তরা লেকভিউ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে ৬ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ইমনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় ইমনের ভ্যানচালক বাবা জুলহাস হোসেন মারা যান। মা রিনা বেগম মানুষের বাসায় কাজ করে সন্তানদের বড় করেন। ইমনকে নিয়ে আনেক আশা ছিল মা রিনা বেগমের। চার ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় হওয়ায় অল্প বয়সেই সংসারের হাল ধরতে হয় তাঁকে। টিউশনি করে নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি সংসার চালিয়ে ছোট তিন ভাইবোনকেও স্কুলে ভর্তি করায় ইমন। ইমন স্বপ্ন দেখতেন, একদিন সংসারের দুঃখ দূর করবেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ওই শিক্ষার্থীর মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
সুমন/ আল/ দীপ্ত সংবাদ