বরিশালে অব্যাহত কারফিউ এবং কোটা আন্দোলনের প্রভাবে ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্নবিত্তরা বাসিন্দারা। টানা দুই সপ্তাহব্যাপী অচলাবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। উদ্ভূত পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার দাবি নাগরিকদের।
গত ১৫ই জুলাই থেকে, কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রভাবে বন্ধ হয়ে যায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় নতুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল, সদর রোড, সরকারি বিএম কলেজ রোড, লঞ্চঘাটসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকানপাট। সকল ধরনের গণপরিবহন ও যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি ১৮ই জুলাই থেকে কারফিউর ঘোষণায় অচল হয়ে পড়ে গোটা নগরী। এর প্রভাবে তীব্র ভোগান্তিতে পড়ে দিনমজুর, নিম্ন বৃত্ত ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সংঘর্ষ ভাবে এখনো আতঙ্কে বিরাজ করছে নাগরিকদের মাঝে। দ্রুত পরিবেশ স্বাভাবিক করার দাবি তাদের।
দু সপ্তাহ ব্যাপী দফায় দফায় চলমান সংঘর্ষের ঘটনায়, বরিশালে পুলিশ শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিক মিলিয়ে আহত হয়েছে দুই শতাধিক। প্রতিদিন রাত দশটা থেকে সকাল ৬ঃ০০ টা পর্যন্ত মহানগরী এলাকায় অব্যাহত রয়েছে কারফিউ। পুলিশের দায়ের করা ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক ব্যক্তিকে।
মর্তুজা/ আল / দীপ্ত সংবাদ