যশোরে পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বিক্ষোভ মিছিল থেকে ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা হত্যা, গণপ্রেপ্তার, হামলা, মামলা, গুম এবং খুনের প্রতিবাদে ও জাতিসংঘ কর্তৃক তদন্ত পূর্বক বিচারের দাবিতে এবং ছাত্র সমাজের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ‘মার্চ ফর জাস্টিস‘ কর্মসূচি পালনের অংশ হিসেবে সকাল থেকে যশোরের শহরের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে যশোর পৌরসভার সামনে জড়ো হয়।
এ সময় মিছিলের চেষ্টা করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এরপর শহরের ঈদগাহ মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হয়। পুলিশ বাঁধা দিলে তারা পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হতে থাকে।
এরপর যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে চার রাস্তার মোড়ে মিছিলটি পৌঁছালে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্য এবং ডিবি পুলিশের সদস্যরা এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এর আগে, শহরের ঈদগাহ মোড় এলাকা থেকে রনি, আকাশ, রানা, তৌহিদুল, রিয়াজ ও ইব্রাহিম নামে ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের সমন্বয়ক রাশেদ খান জানান, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি পুলিশের বাধার মুখে পড়েছে। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বাধা দিয়ে আটক করে আমাদের আন্দোলন প্রতিহত করা যাবে না। আমরা রাজপথে ছিলাম, থাকবো।
জুবায়ের/ আল/ দীপ্ত সংবাদ