কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশে চলা সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেলের মিরপুর–১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন দ্রুত চালু করতে জাপানের সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৭ জুলাই) বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এ আহ্বান জানান তিনি।
পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, জনগণের কল্যাণ, নিরাপত্তা ও সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে নির্মিত বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে দুর্বৃত্তরা।
‘যেসব প্রতিষ্ঠান জনগণের জন্য উপকারী আক্রমণকারীরা সেসব প্রতিষ্ঠান টার্গেট করে। এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক।’
গত ১৫ বছরের নিরলস প্রচেষ্টায় এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের বহু শ্রমিকের ‘ঘাম ও চোখের জলের’ বিনিময়ে মেট্রোরেল নির্মিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছি যে, কিছু লোক মেট্রোরেলের মৌলিক কাঠামো (মিরপুর–১০ ও কাজীপাড়ায়) ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা থেকে বিপুলসংখ্যক নাগরিক সুবিধা ভোগ করে থাকে।’
প্রথমে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং তারপর এ স্টেশন দুটি চালু করতে বাংলাদেশকে কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
দেশে সেনা মোতায়েনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলেও রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আগস্টের শেষভাগে টোকিওতে অনুষ্ঠিতব্য পাবলিক প্রাইভেট ইকোনমিক সংলাপের জন্য তার দেশের ব্যবসায়ীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
সংলাপের আগে আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন কিমিনোরি।
সহিংসতায় হতাহতের জন্য এসময় সমবেদনা জানান তিনি।
সৌজন্য সাক্ষাতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন– প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন প্রমুখ।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ