ভারতের কলকাতায় জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। আবহাওয়ার কারণে কলকাতায় এ বছর সর্দি–জ্বরে ভোগান্তি বেড়েছে। জ্বরে একবার অসুস্থ হলে ৭–১০ দিনের আগে দুর্বলতা কাটছে না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি অ্যাডিনোভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে ভর্তি থাকা শিশুরোগীদের মধ্যে শতকরা ৯০ জনেরই শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ (রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন) দেখা যাচ্ছে। যাদের অধিকাংশই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ আবার অ্যাডিনোভাইরাসের শিকার।
চিকিৎসকদের দাবি, ২০১৮–১৯ সালের পরে এই ভাইরাস নতুন করে ফিরে এল। এবছরের ভয়াবহতা বছর তিনেক আগের পরিস্থিতিকেও ছাপিয়ে গেছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতির কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছেন। করোনার কারণে শিশুরা দীর্ঘ সময়ে ঘরবন্দি থেকেছে। ফলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমেছে।
হাসপাতালের সাধারণ শয্যা ছাড়াও জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত শিশুরোগীর ভিড়ে উপচে পড়ছে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)। কলকাতা ও জেলার সরকারি–বেসরকারি হাসপাতালের ভয়াবহ এই চিত্র কোভিড পরবর্তী সময়ে নতুন আতঙ্ক তৈরি করেছে। পেডিয়াট্রিক ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিকু) শয্যারও শংকট দেখা দিয়েছে। ভেন্টিলেশনে রাখতে হচ্ছে শিশুদের।
এফএম/দীপ্ত