সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪
সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

জেনে নিন কোন রঙের পাসপোর্ট কাদের জন্য?

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

স্বাধীনতা পর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ রূপে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকে বাংলাদেশে মূলত তিন রঙ এর পাসপোর্ট চালু আছে, যা মূলত তিনটি ভিন্ন ধরন ও ব্যবহার নির্দেশকারী প্রতীক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।

বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, শুরুতে পাসপোর্ট ছিল তিন রকম, অর্ডিনারি বা সাধারণ পাসপোর্ট, স্পেশাল বা বিশেষ পাসপোর্ট এবং ডিপ্লোম্যাটিক বা কূটনৈতিক পাসপোর্ট। ২০১০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশি সাধারণ পাসপোর্টের রং ছিল সবুজ, আর কূটনৈতিক পাসপোর্ট ছিল লাল রং এর।

বিশেষ পাসপোর্ট কেবল মাত্র ভারতে যাবার জন্য ইস্যু করা হতো বলে সেটি ইন্ডিয়ান পাসপোর্ট নামেও পরিচিত ছিল। ইন্ডিয়ান পাসপোর্টের রংও ছিল লাল, তবে সেটি কূটনৈতিক পাসপোর্টের চেয়ে কিছুটা আলাদা রং এর।

২০১০ সালের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সব পাসপোর্ট হাতে লেখা ছিল।

চলুন জেনে নেই কোন পাসপোর্ট কার জন্য?

যে দেশ যে রং এরই পাসপোর্ট দিক না কেন, সেটা অবশ্যই ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন আইকাও এর কাছ থেকে পাসপোর্ট এর রং আর নকশার ছাড়পত্র নিতে হয়। তবে সাধারণভাবে পৃথিবীতে লাল, নীল, সবুজ ও কালো এই চারটি রং এর ভিন্ন ভিন্ন শেড এর হয়।

বাংলাদেশে সাধারণভাবে সকলের জন্য সবুজ রং এর পাসপোর্ট চালু থাকলেও, দেশে আরও দুটি রং অর্থাৎ নীল এবং লাল পাসপোর্ট চালু রয়েছে।

 

সবুজ পাসপোর্ট

সবুজ পাসপোর্টকে বলা হয় অর্ডিনারি পাসপোর্ট। এই পাসপোর্ট হচ্ছে বাংলাদেশের সকল সাধারণ নাগরিক এবং সরকারি চাকরিজীবীর জন্য। এক্ষেত্রে জন্মসূত্রে এবং বৈবাহিক উভয় সূত্রে বাংলাদেশের সব নাগরিকের জন্য এই সবুজ পাসপোর্ট। সবুজ পাসপোর্টে বিদেশে গমনের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসার প্রয়োজন হয়।

 

নীল পাসপোর্ট

নীল রং এর পাসপোর্টকে বলা হয় অফিসিয়াল পাসপোর্ট। সরকারি কাজে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে হলে এই অফিসিয়াল পাসপোর্ট ব্যবহার করা হয়। এই পাসপোর্ট করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসের অনুমোদন বা গভর্নমেন্ট অর্ডার (জিও) প্রয়োজন হয়। এই নীল পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা অন্তত ২৭টি দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে, সরকারি কাজ ছাড়া সরকারি চাকরিজীবীরা যদি বিদেশ গমন করতে চান তাহলে তারা নীল পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারবেন না।

 

লাল পাসপোর্ট

লাল পাসপোর্টকে বলা হয় ডিপ্লোম্যাটিক বা কূটনৈতিক পাসপোর্ট। এই পাসপোর্ট পাবেন রাষ্ট্রপ্রধান, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীসভার সদস্যগণ, সংসদ সদস্য এবং তাদের স্পাউস অর্থাৎ স্বামী বা স্ত্রী। সেই সঙ্গে উচ্চতর আদালতের বিচারপতিগণ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রধান, মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ এবং বিদেশে বাংলাদেশি মিশনের কর্মকর্তারা লাল পাসপোর্ট পান।

লাল পাসপোর্ট যাদের আছে, তাদের বিদেশ ভ্রমণের জন্য কোন ভিসা প্রয়োজন হয় না। তারা সংশ্লিষ্ট দেশে অবতরণের পর অনঅ্যারাইভাল ভিসা পান। ডিপ্লোম্যাটিক বা কূটনৈতিক পাসপোর্ট সব দেশেই লাল রং এর হয়ে থাকে।

 

এসএ/দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More