জেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ মে) রাত সাড়ে ৮টায় কাঁচামরিচ বোঝাই একটি ট্রাক হিলি স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে।
হিলি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মাহাবুব হোসেন বলেন, দাবদাহের কারণে দেশে মরিচের ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় উৎপাদন ব্যহত হয়েছে। ফলে দেশে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০/- টাকায়। দেশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা গাজীপুর খামার বাড়ি থেকে অনুমতি পাবার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে আমদানি শুরু হয়েছে। দুই–এক দিনের মধ্যে দাম কমে আসবে আশা করা যায়।
তিনি বলেন, প্রথমদিনে প্রায় ১০ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। আশা বাণিজ্যালয় নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব কাঁচামরিচ আমদানি করেছে। প্রতি কেজিতে শুল্ক দিতে হবে প্রায় ৩৫/- টাকা আর প্রতি টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে ২০০/- মার্কিন ডলারে। হিলি স্থলবন্দর আমদানি কারক মাহবুব হোসেন জানান, কেজিতে ১০/- টাকা লাভে আমদানিকারক ব্যবসায়ী ৬৫/- টাকা কেজি দরে এই মরিচ তার গুদাম থেকে দেশের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাব জানান, মেসার্স আশা বাণিজ্যালয় নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৯ টন ৮৪০ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি করেছেন। বর্তমানে কাঁচা মরিচ বোঝাই ট্রাকটি বন্দর অভ্যন্তরে অবস্থান করছে।কাস্টমসের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত ছাড়করণ করা হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ–সহকারি প্রকৌশলী মো. ইউসুফ আলী জানান, হিলি স্থলবন্দরের কয়েকজন আমদানিকারক ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি চেয়ে কৃষি মন্ত্রণালেয় আবেদন করে। এ পর্যন্ত ৮ জন আমদানিকারক ৩৬০০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি পেয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ নভেম্বর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি হয়। এরপর ৬ মাস কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ ছিল।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ