বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় বিজনেস টিভি রিয়েলিটি শো ‘শার্ক ট্যাঙ্ক বাংলাদেশ‘ সিজন–ওয়ান এখন দীপ্ত টিভি ও ডিজিটাল প্লাটফর্ম– বঙ্গ‘তে। দেশের স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ও তরুণ উদ্যোক্তাদের সামনে সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে এই শোয়ের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছেন, স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।
বিশ্বের নতুন উদ্যোক্তাদের কাছে বরাবরই জনপ্রিয় বিজনেস টিভি রিয়েলিটি শো ‘শার্ক ট্যাঙ্ক‘। ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম প্রচারের পরপরই বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে এই অনুষ্ঠান। যেখানে শীর্ষ ব্যবসায়ী, যাদেরকে শার্ক বলা হচ্ছে, তাদের সামনে তরুণ উদ্যোক্তারা ব্যবসার আইডিয়া তুলে ধরার সুযোগ পান। সেই আইডিয়া বিবেচনা করে শার্করা তাতে বিনিয়োগ করেন।
গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থেকে বাংলাদেশও প্রচার শুরু হয়েছে ‘শার্ক ট্যাঙ্ক বাংলাদেশ‘ নামের এই রিয়েলিটি শো। দেশের জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন দীপ্ত টিভি এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘বঙ্গ‘তে প্রচার হচ্ছে এই অনুষ্ঠান। ‘শার্ক ট্যাঙ্ক বাংলাদেশ‘ রিয়েলিটি শোতে শার্ক হিসেবে রয়েছেন দেশের বেশ কয়েকজন সফল উদ্যোক্তা। তাদেরই একজন সামি আহমেদ। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের একমাত্র সরকারি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশের‘ ব্যবস্খাপনা পরিচালক তিনি। শোনালেন, দেশের স্টার্টআপদের উদ্ভাবনী ধারণা ব্যবসায় রূপান্তরের গল্প।
সামি আহমেদ বলেন, ‘গত দুই বছরে আমরা স্টার্টআপ বাংলাদেশ থেকে ৩২টি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানকে ফান্ডিং করেছি। এর আগে আইডিয়া প্রজেক্ট থেকে ৩৭৫টি স্টার্টআপকে গ্রান্ট দেয়া হয়েছে। শার্ক ট্যাঙ্ক ধরে আমাদের আপকামিং ফান্ডিং আছে আরো ৩০টি। আগামী ৩–৪ মাসের মধ্যে আমরা এসব স্টার্টআপে ফান্ডিং করব।‘
তিনি জানান, স্টার্টআপ নিয়ে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ থেকেই শার্ক ট্যাঙ্ক বাংলাদেশে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে, স্টার্টআপ বাংলাদেশ।
এই উদ্যোক্তা বলেন, ‘পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে যে একটা ভাইব্রেন্ট স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম থাকতে পারে, একটা উদ্যোক্তগোষ্ঠী যে আছে, সে বিষয়ে তারা সজাগ নয়। এটা একটা সমস্যা। দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে, আমাদের স্থানীয় পর্যাপ্ত বিনিয়োগকারী নেই। যারা আছেন, তারাও স্টার্টআপে কীভাবে বিনিয়োগ করবেন, সে বিষয়ে তারা পরিষ্কার নন। এই দুটি কারণে আমাদের শার্ক ট্যাঙ্ক বাংলাদেশে যুক্ত হওয়া।‘
সামি আহমেদের মতে, এই রিয়েলিটি শোয়ের নতুন উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়ীক ধারণা বিস্ময় জাগাবে দর্শকদের মনে।
তিনি বলেন ‘ষোলো বছরের এক ছেলেসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছেলেমেয়েরা যে ভালো ভালো আইডিয়া নিয়ে এসেছে, আমরাই অবাক হয়ে গেছি। শুধু আইডিয়া না, তারা বিজনেসে আছে এবং তারা ভালো প্রফিট করছে।‘
শার্ক ট্যাঙ্ক বাংলাদেশ সিজন–১ এর টাইটেল স্পন্সর রবি। পাওয়ারড বাই স্পন্সর হিসেবে আছে স্টার্টআপ বাংলাদেশ। প্রতি শুক্রবার রাত ১০টায় দীপ্ত টিভি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম– বঙ্গতে থাকছে এই অনুষ্ঠান।
মাহমুদ শাওন/দীপ্ত সংবাদ