চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীর পাড়ে ড্রেজিংয়ের বালুর কারণে চাষাবাদ করা যাচ্ছে না প্রায় একশ বিঘা জমি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহানন্দা নদীর পাড়ে চাষাবাদ হয় ধান, গম, ভুট্টা, লাউসহ বিভিন্ন ফসল ও সবজি। কিন্তু গোমস্তাপুর ও শিবগঞ্জ উপজেলার রানিবাড়ি চাঁদপুর চড়কতলা এলাকায় গত দুই বছর ধরে অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে প্রায় একশ বিঘা ফসলি জমি। মহানন্দা নদীর ড্রেজিংয়ের পর সেই বালু ফসলি জমিতে ফেলায় চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এসব জমি।
কৃষকদের দাবি, চাষাবাদের উপযোগী এসব জমিতে বালু ফেলায় ধানসহ অন্য কোনো ফসল বা সবজিও চাষাবাদ করা যাচ্ছে না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন জমি ইজারা নেয়া কৃষকরা।
চককীর্তি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আনু মিয়া জানান, গত দুই বছর ধরেই দুর্ভোগে আছেন নদীপাড়ের কৃষকরা। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। বালু উত্তোলন করে চাষাবাদের উপযোগী করতে পারলে সেখানে অনেক ফসল উৎপাদন করতে পারবেন কৃষকরা।
ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ায় নদী খননের দুই বছর পরও কিছু জায়গায় ফসলি জমিতে বালু থাকার কথা স্বীকার করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
নাব্যতা ফেরাতে গত দুই বছর আগে মহানন্দা নদীর প্রায় ৩৬ কিলোমিটার এলাকায় নদী ড্রেজিং করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে ব্যয় হয় ১৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ