এশিয়া কাপের সবশেষ আসর আয়োজন নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিলো; টুর্নামেন্ট মাঠে না গড়ানোর। তবে শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে গত বছর এশিয়া কাপের ১৬তম আসর আয়োজন করে পাকিস্তান। এবার আসন্ন আসরগুলোতে দুই দেশের দ্বন্দ্ব থেকে রক্ষা পেতে নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।
দুদেশের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের রেশ খেলার মাঠে ভালোভাবেই পড়েছে। এজন্য ভারত ক্রিকেট দল পাকিস্তানে আর পাকিস্তান ক্রিকেট দল ভারতে খেলতে যেতে পারে না। ২০২৫ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নিতে যাবে ভারত, এমন আশ্বাস দেয়ায় গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে গিয়েছিলো পাকিস্তান ক্রিকেট দল। তবে তার আগে এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যায়নি রোহিত শর্মার দল।
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, এসিসি চার বছর এবং আট বছরের উভয় চুক্তির প্রস্তাব করার পরিকল্পনা করেছে। তবে সম্প্রচারকারীরা দীর্ঘ মেয়াদীর দিকে ঝুঁকছে বলে জানা যায়। টেন্ডারে দুটি করে ৫০ ওভার এবং টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতাসহ এশিয়া কাপের চারটি ইভেন্ট কভার করা হবে।
এসিসি জানিয়েছে, বির্তক এড়াতে ভারত-পাকিস্তানকে রাখা হচ্ছে না স্বাগতিকদের তালিকায়। যার ফলে হোস্টের তালিকায় থাকছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমান।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যদি বিডে অংশ নেয়; তাহলে আগামী এশিয়া কাপের টুর্নামেন্টগুলোর একক আয়োজক হতে পারবে।
আগামী মাসের মধ্যে এশিয়া কাপের জন্য মিডিয়া স্বত্বের বিডিং প্রক্রিয়া শুরু করার পরিকল্পনা করছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। এজন্য ভারতীয় সম্প্রচার সংস্থাগুলোর পরামর্শও নিচ্ছে তারা।
এর আগে এশিয়া কাপের চারটি আসরের জন্য মিডিয়া রাইটস চুক্তি ছিলো প্রায় ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এবার তা আরেও বাড়তে তা অনেকটাই নিশ্চিত।
এজে / দীপ্ত সংবাদ