একাকিত্বের যন্ত্রণা আরও তীব্র হয় ঈদের দিনে বৃদ্ধাশ্রমে থাকা মানুষগুলোর। পুরানো দিনের স্মৃতি ভেবে চোখ কোনে চলে আসে নোনা জল। বৃদ্ধাশ্রমের মানুষগুলোর কাছে সুখগুলো যেন উড়ে গেছে কর্পূরের মত।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাজার শিশুকে স্বরলিপি শেখানো সাইদুর রহমান এখন বৃদ্ধাশ্রমের প্রবীণ বাসিন্দা। দুই সন্তান থাকলেও নির্জন বেলকোনির একচিতলে রোদে সুখ খোঁজেন ৭৫ বছর বয়সী এই মানুষটি।
২৫ বছর আগে স্বামী হারানো বৃদ্ধা মোজাহিরা বেগন এখন প্রিয়জনের মুখ খুঁজে বেড়ান বইয়ের পাতায়। সেবিকা পেশায় সারা জীবন মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানো মানুষটি এখন দুঃখের সাগরে ভাসছেন এক মাত্র সন্তানকে হারিয়ে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা প্রবীণ নিবাসে থাকেন ১৪ জন বৃদ্ধ বাবা–মা। আন্দনের দিনেও যারা চোখের জল ফেলেন বৃদ্ধাশ্রমের চার দেয়ালের মাঝে মুখ লুকিয়ে।
বৃদ্ধাশ্রমের সেবা আর ঈদের নতুন কাপড় জীবন সায়ান্নে এটাই হয়েছে নিয়তির প্রাপ্তি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা প্রবীণ নিবাসের ম্যানেজার আলিউল রেজা আলম বলেন, ঈদে উপলক্ষে নতুন কাপড় দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ঈদের দিন ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বৃদ্ধাশ্রমের পথটি অনেক সরু হলেও বিশেষ দিনে প্রিয়জনের প্রতীক্ষায় সেদিকে তাকিয়ে থাকেন এই প্রবীণরা।