বাংলাদেশ ইনিংসের শুরুতে এদিন প্রথম বলেই ফিরেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপরই বিদায় নেন ইয়াসির রাব্বি। দুই উইকেট হারানোর পর অবশ্য ওপেনার জাকির হাসানকে নিয়ে ধাক্কা সামলে নেওয়ার আভাস দিচ্ছিলেন লিটন দাস। তবে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন তারকা এই ব্যাটার। ৩০ বলে ২৪ রান করার পর দলীয় ৩৯ রানে মোহাম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান লিটন।
দলীয় ৫৬ রানে আবারো সিরাজের আঘাত টাইগার শিবিরে। ২০ রানে ফেরান অভিষিক্ত ওপেনার জাকিরকে। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে ব্যাট হাতে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও করেছেন হতাশ। দলীয় ৭৫ রানে কুলদীপ যাদবের বলে ব্যক্তিগত ৩ রান করে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। এরপর মুশফিকের সাথে ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে গেলেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন নুরুল হাসান সোহান। কুলদীপের বলে আউট হওয়ার আগে করেন ১৬ রান।
এক প্রান্ত রেখে ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষে লড়ে যাচ্ছিলেন মুশফিক। তবে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে শেষ বিকেলে এই ব্যাটার ফিরে যান ২৮ রান করে। এরপর স্পিনার তাইজুল ইসলাম ফিরে যান কোনো রান ছাড়াই। ১০২ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর শেষ বিকেলে অলআউটের শঙ্কা জাগলেও শেষ পর্যন্ত মেহেদী মিরাজ এবং এবাদত হোসেন দিন পার করেছেন অপরাজিত থেকে।
তৃতীয় দিনে এবাদত ১৩ রানে এবং মিরাজ ১৬ রানে ব্যাটিং শুরু করবেন। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার কুলদীপ যাদব। এছাড়া ৩ উইকেট শিকার করেছেন মোহাম্মদ সিরাজ।