জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসুল সা. আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। দোয়া ইবাদতের মূল। দোয়া ছাড়া ইবাদত অস্পূর্ণ থাকে। যে কোনো সময় যে কোনো দোয়া পড়া যায়।
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, “তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না। (বুখারি ৬৩৪০)”
ইফতার সামনে নিয়ে আজানের অপেক্ষা করা রোজাদারের জন্য এক মহাপরিক্ষা। এমন মূহুর্তে আল্লাহ বান্দার কমপক্ষে একটি দোয়া হলেও কবুল করেন।
হাদিসে এমনই এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রা. বলেন, নবীজি সা. বলেন,
“ইফতারের সময় রোজাদারের একটি দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। অর্থাৎ কমপক্ষে একটি দোয়া অবশ্যই কবুল হয়।“
ইফতারের কিছুক্ষণ আগে যে দোয়াটি বেশি বেশি পড়তে হয়:
يَا وَا سِعَ الْمَغْفِرَةِ اِغْفِرْلِىْ
উচ্চারণ: ‘ইয়া ওয়াসিয়াল মাগফিরাতি, ইগফিরলী’।
অর্থ: ‘হে মহান ক্ষমা দানকারী! আমাকে ক্ষমা করুন’।
ইফতার করার জন্যও রয়েছে দোয়া। যার মাধ্যমে নেকি লাভ করা যায়। দোয়াটি হলো
اللهم لك صمت و على رزقك افطرتاللهم لك صمت و على رزقك افطرت
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া তাওয়াক্কালতু আ’লা রিজক্বিকা ওয়া আফতারতু বি রাহমাতিকা ইয়া আর হামার রা–হিমীন।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করছি’।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ