দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন মহল থেকে অযৌক্তিক রাজনৈতিক চাপের অভিযোগ তুলে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে জাতিসংঘকে চিঠি দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
জাতিসংঘের মহাসচিবের শেফ দ্য ক্যাবিনেট আর্ল কোর্টনে র্যাট্রের কাছে গত ১৯ নভেম্বর চিঠিটি পাঠান তিনি। নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে চিঠিটি মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের অফিসে পাঠানো হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা তার ১৫ বছরের মেয়াদে হাজারো নির্বাচন, উপনির্বাচন, জাতীয় নির্বাচন, আঞ্চলিক নির্বাচন ও মেয়র নির্বাচনের আয়োজন করেছেন। খুবই ছোটখাট কিছু ঘটনা ছাড়া সব নির্বাচনই ছিল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।
চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের একজন ক্রুসেডার এবং তিনি দেশের মানুষের ভোট, খাদ্য ও সুন্দর জীবনযাপনের অধিকার নিশ্চিত করতে অনেক কষ্ট করেছেন। তিনি একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজন করতে সংকল্পবদ্ধ। কিন্তু একইসঙ্গে বিক্ষোভের নামে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি পোড়ানো ও মানুষকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনাগুলো তিনি সহ্য করবেন না, যা বিরোধী দল নিয়মিত করে আসছে।
আরও পড়ুন: আসন ভাগাভাগি নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আরও প্রত্যাশা করব যে, জাতিসংঘের কর্মকর্তারা পক্ষপাতহীনতা, সততা ও বস্তুনিষ্ঠতার সর্বোচ্চ মানদণ্ড মেনে চলে সংস্থাটির গ্রহণযোগ্যতা ও সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখবে। যদি তাদের প্রতিবেদনগুলোতে ভুল তথ্য ও বস্তুনিষ্ঠতার অভাব থাকে তাহলে তারা তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারাতে পারে,’ বলে চিঠিতে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ