ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় গাজা যেন এক বিধ্বস্ত জনপদ। এখন পর্যন্ত ৫ শর বেশি ফিলিস্তিনি নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা এক হাজার একশ ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৯, যুক্তরাজ্যের ১০, থাইল্যান্ডের ১২ ও নেপালের ১০ নাগরিক রয়েছে। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিভাজন।
গাজায় দিন–রাত এখন এমনই বিমান হামলা চলাচ্ছে ইসরায়েল। এতে একের পর এক আবাসিক ভবনগুলো ধংস হচ্ছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ি, এরই মধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এক লাখ ২৩ হাজারের বেশি মানুষ। প্রায় ৭৪ হাজার মানুষ জাতিসংঘ পরিচালিত বিভিন্ন স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন।
ইসরায়েলেও একটি স্থান থেকেই উদ্ধার করা হয় ২৬০ জনের মরদেহ। গত শনিবার হামাসের হামলায় নিহত হন তারা। হামলার সময় কনসার্ট চলছিল সেখানে।
হামাসের হামলার মুখে ইসরায়েল থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে সামরিক বিমান পাঠাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। এরই মধ্যে সার্বিয়ার নাগরিকরা ইসরাইল ছেড়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলিরাও দলে দলে ভূখন্ড ছাড়ছেন। এজন্য তেল আবিবের ইউরোপিয়ান দূতাবাসগুলোতে ইসরায়েলিদের দীর্ঘ লাইন পড়েছে।
হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে স্বাভাবিভাবেই প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ইসরায়েলকে সহযোগিতা দিতে মার্কিন রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি এরই মধ্যে ইসরায়েলের জলসীমায় প্রবেশ করেছে। পাশাপাশি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা–ওআইসি। তবে হামাসকে সহযোগিতকার কথা অস্বীকার করেছে ইরান।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠক করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেও হামাসের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিতে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি সংস্থাটি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইর্কের টাইমস স্কোয়ারে স্থানীয় সময় রবিবার ইসরায়েল–ফিলিস্তিন ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ হয়।
আল / দীপ্ত সংবাদ