কাগজের বর্জ্যকে আয়ের উৎস বানিয়েছেন এক ফিলিস্তিনি। তিনি মনে করেন, অপ্রয়োজনীয় বস্তু দিয়ে পুনব্যবহারযোগ্য পণ্য বানানো গেলে, ভবিষ্যতকে বাঁচানো সম্ভব।
বিস্তির্ণ এলাকায় জড়ো করা হয়েছে কাগজের বর্জ্যের বিশাল স্তুপ। এগুলো প্রক্রিয়াজাত করে ডিম রাখার ট্রে বানানো হচ্ছে একটি কারখানায়। ২০১৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন আকরাম আমৌর।
প্রতিদিন এখানে তিনশো থেকে চারশো কেজি কাগজের বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে তিন থেকে পাঁচ হাজার পিস ডিমের ট্রে বানানো হয়। আমদানি করা ডিমের ট্রের তুলনায় কম মূল্যে মেলায়, গাজার অনেক মুরগির খামারী এগুলো কিনছেন।
কারখানার এক কর্মী বলেন “এই কারখানাটি কর্মী এবং স্নাতকদের কাজের সুযোগ দিয়েছে। তবে গাজার অর্থনৈতিক অবস্থা আর বিদ্যুৎ সংকটের কারনে কাজ করতে গিয়ে আমরা সমস্যায় পড়ছি।”
কারখানার পরিচালক জানান “এ কাজের শুরুতে অনেক সমস্যায় পড়েছিলাম। পরে চীনের একটি কোম্পানির কাছ থেকে ডিমের ট্রে বানানোর প্রক্রিয়া শিখেছি। এখন আর অসুবিধা হচ্ছে না।”
গাজার স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলটিতে দৈনিক প্রায় এক হাজার আটশো টন কঠিন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। যার মধ্যে শতকরা প্রায় ১৪ ভাগই কাগজের বর্জ্য।