কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লেকের উজান ও ভাটি এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণে ১৬টি গেইট ছয় ইঞ্চি করে খুলে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে এই গেইটগুলো খোলা হয়। ১৬টি গেইট দিয়ে নয় হাজার কিউসেক পানি ছাড়ার কথা জানিয়েছেন কর্ণফুলি পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
কর্ণফুলি পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, সকাল ১০টা থেকে হ্রদের উজান ও ভাটির এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেইট ছয় ইঞ্চি করে খোলা হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে নয় হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে এছাড়াও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতি সেকেন্ডে ২৫ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে। পানি ও বৃষ্টি বৃদ্ধি পেতে থাকলে গেইট খোলার পরিমাণ বাড়ানো হবে।
বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে পানি আছে ১০৭.৫৪ ফুট এমএসএল। কাপ্তাই হ্রদে সর্বোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএলের (মিনস সী লেভেল)। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে কাপ্তাই হ্রদ খনন না হওয়ায় পলি জমে হ্রদের তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় অল্পপানিতেই হ্রদ পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
অপরদিকে প্রতিদিনই বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে জেলা শহরের অন্যতম প্রধান সংযোগ সড়ক ফিসারি বাঁধে এবং নিন্মাঞ্চলের বাড়ি ঘরে প্রবেশ করছে হ্রদের পানি, দেখা দিয়েছে জনদুর্ভোগ।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাচঁটি ইউনিট থেকে মোট ২০০–২০৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়েছে।
মিশু দে/শায়লা/দীপ্ত নিউজ