দাখিল পরীক্ষায় পাশের হার কম থাকায় নওগাঁর সাত মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন বন্ধের জন্য শোকজ করেছে মাদ্রাসা অধিদপ্তর। চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষায় ১০ শতাংশের কম শিক্ষার্থী এই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পাশ করেছিল।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ওই ৭জন প্রতিষ্ঠান প্রধানকে পাঠানো শোকজ নোটিশ প্রকাশ করেছে মাদ্রাসা অধিদপ্তর।
এতে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফল বিপর্যয় হওয়ায় এসব মাদ্রাসার শিক্ষক–কর্মচারীদের বেতন কেনো বন্ধ করা হবে না তা জানতে চেয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, ফল বিপর্যয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে জেলার পত্নীতলা উপজেলার ছোট মহারান্দি টেকনিক্যাল দাখিল মাদ্রাসার ২০জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে দুইজন, পাশের হার ১০শতাংশ, একই উপজেলার নির্মল দারাজিয়া দাখিল মাদ্রাসার ১৭জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে একজন, পাশের হার পাচঁ দশমিক ৮৮ শতাংশ, দিবর সিদ্দিকী নগর দাখিল মাদ্রাসার ২৩জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে একজন, পাশের হার চার দশমিক ৩৫শতাংশ। ফরিদপুর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার ২১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে দুইজন, পাশের হার চার শতাংশ।
অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিশে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জানানো হয়েছে, মাদ্রাসাগুলোর কম পাসের হার এমপিও নীতিমালা পরিপন্থি। প্রতিষ্ঠানগুলো এ কর্মকান্ডে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। এসব মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষক–কর্মচারীদের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত বা স্থানীয়ভাবে বন্ধের ব্যবস্থা কেনো গ্রহণ করা হবে না তার জবাব আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।
অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই গণিত বিষয়ে ফেল করেছে বলে জানা যায়। কিছু প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকটের জন্য এই ফল বিপর্যয় ঘটেছে বলে দাবী করেছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ।
আব্দুর রউফ রিপন/পূর্ণিমা/দীপ্ত নিউজ
