শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

সংযোগ সড়ক না থাকায় সাঁকো দিয়ে পারাপার

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন শ্রীকাইল ইউনিয়নের রোয়াচালা গ্রামের রোয়াচলাকুড়াখাল সড়কের রোয়াচালা উত্তর পাড়া আহাদ মিয়ার বাড়ীর পাশ্বের খালে অপরিকল্পিত ভাবে ব্রিজ নির্মাণ করায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে।

প্রায় দুই বছর পূর্বে ব্রীজটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা স্থানীয়দের। লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি) কর্মসূচীর অধীন এই ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ এখনই প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা না নিলে যে কোন সময় বড় আকারে যে কোন দুর্ঘটনার মিকার হতে পারে স্থানীয়দের। ঠিকাদারের সঙ্গে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে এই কালর্ভাটটি নির্মাণ করে সরকারি অর্থের লুটপাট হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এলাকাবাসীর দাবি অচিরেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ দিকে নজর দিবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২৫/৩০ ফুট প্রস্থ্য খালের উপর নির্মাণ করা হয়েছে এই ব্রীজটি। ব্রীজটির দুই পাশ দিয়ে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে রোয়াচলাকুড়াখাল সড়ক দিয়ে তিন গ্রামের প্রায় পাচঁ হাজার লোক যাতায়াত করছেন। পাশাপাশি কুড়াখাল ও কুরুন্ডি গ্রামে ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। ব্রিজের দুই পাশের সংযোগ সড়কের জন্য মাটির বরাদ্ধ থাকলেও সেখানে মাটি ফেলায় স্থানীয়দেও মাঝে ক্ষোভ তৈরী হয়েছে।

জানা যায়, গত ২০১৯২০২০ অর্থ বছরে এলজিএসপি৩ এর আওতায় রোয়াচালা আহাদ মিয়ার বাড়ির সামনে কুড়াখাল সড়কের উপর ব্রীজ নির্মাণ ও সংযোগ সড়কের জন্য ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার বরাদ্ধ দেয়া হয় । যা গত ২০২১২০২২ অর্থবছরে বাস্তবায়ন করা হয়।

নাম প্রকাশে না করার শর্তে গ্রামবাসীর অভিযোগ, কোন পরিকল্পনা না করেই প্রকল্পের শেষ পর্যায় এসে পকেট ভারি করতেই তড়িঘড়ি করে অপরিকল্পিত ভাবে কালর্ভাটি নির্মাণ করা হয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা মধ্যদিয়ে ব্রিজ নির্মাণ করা হলে মানুষের কাজে লাগতো এবং সরকারি টাকা অপচয় হতো না।

শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল বাহার মুঠো ফোনে জানান, ব্রিজটির দুই পাশে খুব গভীর হওয়ায় বরাদ্দের সময় সংযোগের জন্য যে টাকা ধরা হয়েছিল তা দিয়ে সম্ভব হয়নি। বর্তমানে বর্ষার পানির জন্য দূর থেকে মাটি আনা যাচ্ছে না। আগামী কিছুদিনের মধ্যে পানি কমলেই সেখানে মাটি ফেলে ব্রিজের সাথে সংযোগ করে দেয়া হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হাই খান বলেন, “এলজিএসপি” প্রকল্পটি আমার আওতায় না। এটি চেয়ারম্যানদের প্রকল্প। এই প্রকল্পে’র দায়িত্বে থাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন ভূঞা জনী বলেন, আমি মুরাদনগর উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পূর্বে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খুব দ্রুতই সেখানকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে সড়কের সাথে ব্রিজটির সংযোগের ব্যবস্থা করা হবে।

শায়লা/ দীপ্ত নিউজ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More