শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

হাঁসের ডিমের হালি ৭২ টাকা, মুরগির ৬০

দীপ্ত নিউজ ডেস্ক
9 minutes read

ফেনীতে হঠাৎ করে ডিমের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে হাঁসের ডিমের দাম হালিতে ১৬ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া মুরগির ডিমের দাম প্রতি হালিতে ১৫ থেকে ১৮ টাকা বেড়েছে।

খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিবহন, শ্রমিকের মজুরী ও উৎপাদন খরচ বাড়ার অজুহাতে ডিমের দাম বেড়েছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ী ও খামারিরা।

বিবার (১৩ আগস্ট) ফেনী বড় বাজার, সুলতান মাহমুদ পৌর হকার্স মার্কেট, মহিপাল বাজার, মুক্ত বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ আগে পাইকারি পর্যায়ে মুরগির ডিম প্রতি হালি ৪০ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৪৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন সেই ডিম পাইকারি পর্যায়ে প্রতি হালি ৬০ ও মুদি দোকানে খুচরা পর্যায়ে ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫৬ টাকা হালির হাঁসের ডিম খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকায়। শহরের ডিমের বাজারে ১০ থেকে ১২টি ডিমের আড়ত আছে।

পাইকারি এ বাজারে শুক্রবার (১১ আগস্ট) লেয়ার মুরগির ডিম প্রতি হালি ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি সাদা কক মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি হালি ৫৬ টাকা দরে। অন্যদিকে শহরের মুদি দোকানগুলোতে লেয়ার মুরগির ডিম প্রতি হালি ৬২ টাকা, সাদা ডিম ৬০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ৭২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ডিম কিনতে আসা দিনমজুর জয়নাল আবেদিন বলেন, মাছ ও মাংসের দাম বেশি হওয়ায় গত দুই মাস ধরে তিনি মাছমাংস বাদ দিয়ে ডিম কেনেন। গত সোমবার তিনি প্রতি হালি ডিম কিনেছেন ৪৬ টাকায়। এক চারদিনের ব্যবধানে আজ একই দোকানে সেই ডিম কিনতে গেলে ৬০ টাকা হালি চাচ্ছেন।

ক্রেতা এমরান পাটোয়ারী বলেন, গত সপ্তাহে তিনি এক হালি হাঁসের ডিম কিনেছেন ৬০ টাকায়। তবে দোকানে গিয়ে দেখেন, সেই ডিম এক লাফে ৭২ টাকা হয়েছে।

তবে দাম বাড়লেও লাভ বাড়েনি বলে দাবি করেছেন খুচরা ও পাইকারি ডিম ব্যবসায়ীরা।

ডিম ব্যবসায়ী নুর নবী বলেন, মুরগির খাদ্য, ওষুধ, বিদ্যুৎ বিল ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহন খরচ বেড়েছে। এ কারণে পাইকারী বাজারে ডিমের দাম বেড়েছে। আগে প্রতি হালি ডিমে দুতিন টাকা লাভ হতো।

খামারি আবুল ফোরকান বলেন, তার খামারে প্রায় সাড়ে সাত হাজার মুরগি রয়েছে। মুরগির খাদ্য, ওষুধ ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় তাঁরাও খরচ পোষাতে বেশি দামে ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণে বিদ্যুৎ চলে গেলে খামারে জেনারেটর ব্যবহার করতে হচ্ছে। শনিবার তাঁর খামার থেকে ১৩ টাকা ৮০ পয়সা দরে প্রায় ছয় হাজার ডিম বিক্রি করেছেন। এরপরও তাঁর খরচ উঠাতে কষ্ট হবে বলে তিনি দাবি করেন।

ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতির পাঁচগাছিয়া রোড শাখার সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন লিটন বলেন, বাজারের প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে কিছু ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্য অতিরিক্ত বাড়িয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারেন। এই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।

তবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বন্যা, ভারী বৃষ্টি ও উৎপাদন কম হওয়ায় পাইকারি বাজারে ডিমসহ আরও কিছু সবজির দাম বেড়েছে। কেনা বেশি পড়ায় তারা বিক্রি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, ডিমসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারে তদারক করা হচ্ছে।

শায়লা/ দীপ্ত নিউজ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More