ভারি বৃষ্টির কারণে ভারতের বিভিন্ন অংশে বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। এতে গত দুই দিনে প্রাণ গেছে ৩৭ জনের। মারা যাওয়া ৩৭ জনের মধ্যে ১৮ জনই হিমাচলের, ৭জন উত্তরাখণ্ডের। হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবে মোট ৯ জন এবং উত্তরপ্রদেশের ৩ জন।
ভারতের হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, জম্মু–কাশ্মীর, রাজস্থান, দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকাগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এসব অঞ্চলে আগামী দুদিন আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জলবদ্ধতার কারণে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রেল যোগযোগ ব্যহত হচ্ছে।
টানা বৃষ্টিতে হিমাচল প্রদেশে ভূমিধস ও বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে প্রদেশের জাতীয়সহ অন্তত ১৩শ’ সড়ক। বাসিন্দাদের ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রদেশের মূখ্যমন্ত্রী সিখবিন্দর সিং।
রাজস্থান, পাঞ্জাব ও হরিয়ানার বেশ কয়েকটি অংশে ভারি বৃষ্টি হওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শহরগুলোতে দেখা দিয়েছে ব্যাপক জলবদ্ধতা। জম্মু–কাশ্মীরের কয়েক জেলায় রেড এলার্ট জারি করেছে প্রশাসন।
বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে হরিয়ানা হাতিনিকুণ্ড ব্যারেজ থেকে ১ লাখ কিউসেক পানি, যমুনা নদীতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এতে বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলোর ওপর নজর রাখার ঘোষণা দিয়েছে দিল্লি সরকার। স্থাপন করা হয়েছে ১৬টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। রবিবার দিল্লিতে বৃষ্টিপাতেরও নতুন রেকর্ড হয়েছে। এ অবস্থায় সোমবার একদিনের জন্য সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
এদিকে, যমুনা নদীতে পানি ছাড়ার কারণে পাকিস্তানের লাহোরের নদীর পানি বেড়ে যাচ্ছে। গত বছরের ভয়াবহ বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই, আবার বন্যার শঙ্কায় পড়েছে দেশটি।
আফ/দীপ্ত নিউজ