সিলেটে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে নদীর পানি। সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, লোভা নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জের নিচু এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। তবে সিলেটে সবকটি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে আরও একদিন অল্পবিস্তর বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সিলেটে পানি বাড়বে এক্ষেত্রে বন্যার আশঙ্কা বাড়বে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার।
বন্যা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশন। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে গত ৩ ঘন্টায় ১২–০৩ টায় ১৩০.০ মি.মি.বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে সিলেটে টানা বৃষ্টিপাতে নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বিভিন্নস্থানে সড়ক পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বাসাবাড়ির আঙ্গিনায় পানি থৈ থৈ করছে। কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টির পানি বাসাবাড়িতে ঢুকেছে।
ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে নগরীর পাঠানটুলা, আখালিয়া, দরগাহ মহল্লা, বারুতখানা, হাওয়াপাড়া, যতরপুর, ছড়ারপাড়, তালতলা, কদমতলী, ওসমানী মেডিকেল কলেজ, কাজলশাহ্, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, কুমারগাঁওসহ নগরীর অসংখ্য এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে।
জলাবদ্ধতার কারণে স্কুল–কলেজগামী শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। এছাড়াও দোকানপাটে পানি ঢুকে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সাঈদ সাইমুন আনজুম ইভান/ পূর্ণিমা / দীপ্ত সংবাদ