রাজশাহীতে নির্বাচন কর্মকর্তার বাসায় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে তার দলেরই নেতা-কর্মীরা তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। রবিবার (১৮ জুন) রাত ১২টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
আওয়ামী লীগের এই নেতার নাম মীর ইশতিয়াক আহমেদ (লিমন)। তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নির্বাচন কর্মকর্তার নাম আবুল হোসেন। তিনি নগরের ৯, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ নেতার মামা আবদুল হামিদ সরকার (টেকন) নগরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং এবারের নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী। তার মামাকে জেতাতে এবং আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে হারানোর জন্য ষড়যন্ত্র করতে এসেছিলেন তিনি। বিক্ষোভকারীরা তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি করেন।
আওয়ামী লীগ নেতা মীর ইশতিয়াক আহমেদের বাবা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। তার আরেক মামা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। এই পরিবার এবার সিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর জন্য কাজ করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশিক দত্ত অভিযোগ করেছেন, মীর ইশতিয়াক আহমেদের সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন। তারা বাসার ভেতরে ঢুকে টাকা লেনদেন করছিলেন। এ সময় তারা ভেতরে ঢোকেন। তখন দরজা সামান্য একটু খোলা ছিল। তারা ফেসবুক লাইভ করে ভেতরে ঢুকছিলেন। তাদের দেখে ইশতিয়াক আহমেদ শৌচাগারের ভেতরে পালান। তারা তার পিছু নিলে টাকার ব্যাগ নিয়ে অন্যজন পালিয়ে যান।
নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন টাকা লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ইউ. আদনান/আফ/দীপ্ত নিউজ