মঙ্গলবার, নভেম্বর ৪, ২০২৫
মঙ্গলবার, নভেম্বর ৪, ২০২৫

টিফিনের টাকায় পাঠাগার

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল জ্ঞানপিপাসু মানুষের জন্য নিজ গ্রামে কিছু একটা করার। তাই গ্রামের পিছিয়ে পড়া গ্রামের মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে টিফিনের টাকা জমিয়ে মেহেদী হাসান নিজ গ্রামে তৈরি করেছেন ‘বই ঘর পাঠাগার’।

২০২০ সালে এ পাঠাগারটি স্থাপন করেন বইপ্রেমী গাইবান্ধা সদর উপজেলার টেংগরজানি গ্রামে মো. হান্নান মিয়ার পুত্র মেহেদী হাসান (২০)। তিনি গাইবান্ধা সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।

গ্রামে নিজের বাড়ির সামনে গড়ে তোলেন ‘বই ঘর পাঠাগার’। বর্তমানে পাঠাগারটি আলো ছড়াচ্ছে গাইবান্ধা জেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নসহ পাশ্ববর্তী উপজেলার মানুষের মাঝে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহরে থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দুরে গাইবান্ধাপলাশবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশেই টেংগরজানি গ্রাম। সেখানে ৩৮ ফুট দের্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রস্থা একটি আধাপাকা টিনের ঘরে গড়ে তোলা হয়েছে ‘বই ঘর পাঠাগার’। শিশুকিশোরদের বই থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাসঐতিহ্য, সাহিত্য, বিনোদন, রাজনীতি, অর্থনীতি, উপন্যাস, প্রবন্ধ, রচনাসমগ্র, জীবনী, ছোটগল্প, কবিতা, ভাষাতত্বসহ সাহিত্যের প্রায় সব শাখার বই রয়েছে এই পাঠাগারে। এমনকি বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও দুষ্প্রাপ্য প্রকাশনার খোঁজ মেলে এখানে।

বর্তমানে তার পাঠাগারে বই রয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিকের অধিক। প্রতিদিন আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গড়ে ২৫ থেকে ৩০ জন পাঠক বই ও পত্রিকা পড়তে আসেন এ পাঠাগারে। পাঠাগারের সদস্যদের জন্য বই বাড়িতে নিয়েও পড়ার সুবিধা রয়েছে।

মেহেদীর পাঠাগারে অধিকাংশ পাঠক বিভিন্ন স্কুলকলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বই ও পত্রিকা পড়তে আসেন। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন পাড়ামহল্লায় বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করতে অভিযানও চালিয়ে যাচ্ছেন মেহেদী।

 

 

ভবতোষ রায় মনা/এমি/দীপ্ত নিউজ

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More