পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ২০টি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কোন উপায়ন্ত না পেয়ে ঝুঁকি নিয়েই এসব সেতু দিয়ে চলাচল করছে লাখ লাখ মানুষ। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব সেতু সংস্কার কিংবা পুন:নির্মানের দাবি স্থানীয়দের।
প্রায় ৩০ বছর আগে উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের সোমবাড়িয়া বাজার সংলগ্ন ভারানি খালের উপর একটি সেতু নির্মান করে এলজিইডি। ২০০৭ সালের ঘূর্নিঝড় সিডরে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরে স্থানীয়রা সুপাড়ি গাছ ও কাঠ দিয়ে কোন মতে সেতুটি যান চলাচলের উপযুক্ত করে। বর্তমানে সেতুটির সিমেন্টের ঢালাই দেয়া স্লিপার ধসে পড়েছে। এ্যাঙ্গেল বাঁকা হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় সেতুটি খালের মধ্যে ভেঙে পড়তে পারে। ঝুঁকি জেনেও কোন উপায়ন্তর না পেয়ে এ সেতু দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে ১ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ কলেজ ও ১ টি মাদ্রাসার কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। এছাড়া চম্পাপুর এবং ধানখালী ইউনিয়নের ৬ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের চলাচলের মাধ্যম এটি। বর্তমানে এ সেতু দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থী সহ সাধারন মানুষ। শুধু এই সেতুই নয় কলাপাড়া উপজেলার ৬০ টি সেতুর মধ্যে ২০ টি সেতুই এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব সেতু নতুন করে নির্মানের দাবি স্থানীয়দের।
ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজগুলো আগামী ৩ মাসের মধ্যে সংস্কার করা হবে। এছাড়া উপজেলায় ২৩টি নতুন ব্রিজ নির্মানের লক্ষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব সেতুর সমস্যা সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ নিবে সরকার এমন প্রত্যাশা সকলের।
মো.ইমরান/আফ/দীপ্ত নিউজ