ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার খয়েরতলা গ্রামে স্ত্রীর দাবিতে সজল বিশ্বাস নামে এক ইউপি সদস্যের বাড়িতে অবস্থান করছেন সনাতন ধর্মের এক নারী। শনিবার (১০ জুন) সন্ধ্যার দিকে খয়েরতলা এলাকায় ইউপি সদস্যের বাড়িতে প্রবেশ করেন তিনি।
সজল বিশ্বাস উপজেলার ১নং সুন্দরপুর–দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও খয়েরতলা গ্রামের ঝন্টু বিশ্বাসের ছেলে।
ওই নারী জানান, ইউপি সদস্য সজল বিশ্বাসের সাথে তার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরপর তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাকে কোটচাঁদপুর উপজেলার বলরামপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে রাখেন। এরপর তাকে ডিভোর্স দেয় সজল। এরপর পরিবার অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেয়। গত দেড় বছর আগে আবারও সজল ফুসলিয়ে তাকে বিয়ে করেন। এবার তিনি স্বামীর সাথে একসাথে বসবাস করতে চান। কিন্তু সজল তাকে বাসা ভাড়া করে রাখছিল। উপায় না পেয়ে তিনি শনিবার বিকেলে সজলের খয়েরতলার বাড়িতে চলে আসেন।
তিনি আরো জানান, তিনি সজলের বাসার ছাদ টপকে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেন। এ সময় বাসার সামনে গেটে তালা মারা ছিল। তিনি এখন ওই বাড়িতে একা রয়েছেন। তিনি স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অবস্থান করছেন। তিনি সনাতন ধর্মের। কিন্তু বিয়ের পর ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলমান হয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে ইউপি সদস্য সজল বিশ্বাসের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কালীগঞ্জ থানার এসআই সেকেন্দার আবু জাফর। তিনি জানান, ওই মেয়ে বাসার ভিতরে অবস্থান করছেন। তিনি আইনি সহযোগিতা চাইলে অবশ্যই প্রদান করা হবে।
শাহরিয়ার আলম /আল/দীপ্ত সংবাদ