অপহরণের ৫৪ দিন পর অপহরণকারী নাজমুল শেখসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার ও অপহৃত সপ্তম শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ মে) ভোরে কক্সবাজার জেলা সদরের একটি ভাড়া বাসা থেকে এ গ্রেপ্তার ও উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার নাজমুল শেখ (২১) সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের হান্নান শেখের ও আকরাম ঢালী পিরোজপুর গ্রামের হাকিম ঢালীর ছেলে।
উদ্ধার সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী একই ইউনিয়নের ডুমুরপোতা গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে।
আশাশুনি উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের এক গৃহবধু জানান, তার নাতনী একই ইউনিয়নের ডুমুরপোতা গ্রামের দিনমুজুরের মেয়ে তার বাড়িতে থেকে খাজরা ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশুনা করতো। নানা রশিদ সরদারের বাড়িতে থাকা একই গ্রামের হান্নান শেখের ছেলে নাজমুল শেখ তার নাতনীকে স্কুলে ও প্রাইভেট পড়তে যাওয়া–আসার পথে উত্যক্ত করতো। তাকে কুপ্রস্তাব দিতো। বিষয়টি তার বাবা, মা ও নানাকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। একপর্যায়ে গত ২১ মার্চ সকাল সাতটার দিকে দেবব্রত সরদারের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় পিরোজপুর সার্বজনীন কালিমন্দিরের সামনে থেকে নাতনিকে জোরপূর্বক অপরহরণ করে অভিযুক্তরা।
একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর (দিদিমা) বাদী হয়ে গত ২৮ মার্চ অঅশাশুনি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নাজমুল শেখ, বাবা হান্নান শেখ, মা মাজেদা খাতুন, মেহেদী হাসান, রশিদ সরদার ও আল্লাদি সরদারের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন।
গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মহসিন আলী বুধবার বিকেল ৫টায় এ প্রতিবেদককে জানান, র্যাব এর সহযোগিতায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গোপন খবরের ভিত্তিতে তিনি জানতে পারেন যে তারই গ্রামের হাকিম ঢালীর ছেলে আকরাম ঢালীর সহায়তায় নাজমুল কক্সবাজার সদরের একটি হোটেলে কাজ করছে। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার ভোরে নাজমুলকে কক্সবাজার সদরের একটি ভাড়াবাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপহরণে সহযোগতিার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় আকরাম ঢালীকে। উদ্ধার করা হয় ভিকটিমকে। জিজ্ঞাসাবাদে নাজমুল শেখ জানিয়েছে যে, ভ‚য়া কাগজপত্র তৈরি করে সে ওই ভিকটিমকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেছে।
নাজমুল, আকরাম ও ভিকটিমকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে সাতক্ষীরায় আনা হচ্ছে। বৃহষ্পতিবার ভোরে তারা সাতক্ষীরায় পৌঁছাবেন। ওইদিন আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হবে।
রঘুনাথ খাঁ/এমি/দীপ্ত নিউজ