শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪

চিনা বাদামের বাম্পার ফলন, খুশি কৃষকরা

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় এবার বাদাম চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় কৃষকরা। দাম ও ফলন ভালো পাওয়ায় বেশ খুশি তারা।

নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প ও প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলায় আবাদ হয়েছে উচ্চফলনশীল জাতের চীনা বাদাম।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১৩ হেক্টর জমিতে চলতি মৌসুমে বাদামের আবাদ হয়েছে। উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের কৃষক সামছুল হক ৫০ শতক, মো. রহিম উল্যাহ ভূঁইয়া ৫০ শতক, ছায়দুল হক ৫০ শতক, লকিয়ত উল্যাহ ৪০ এবং একই এলাকার কৃষক মো. জামাল উদ্দিন ২৫ শতক জমিতে চিনা বাদাম চাষ করেছেন। এছাড়াও উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষক বাদাম চাষ করেছেন।

সরেজমিনে উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন বাদাম ক্ষেতে দেখা গেছে, কৃষকরা জমি থেকে বাদাম তোলার কাছে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ বাদাম বস্তাবন্দি করছেন আবার অনেকেই ভেজা বাদাম রোদে শুকাচ্ছেন।

রামনগরের কৃষক সামছুল হকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি ৫০ শতক জমিতে কাশিমপুরী চিনাবাদাম আবাদ করেছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগের উৎসাহে প্রথমবারের মতো বাদাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন তিনি ফলন হয়েছে প্রায় ৩৫০ কেজি। পাইকারী বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ১৩০ টাকা।

একই গ্রামের কৃষক মো. রহিম উল্যাহ ভূঞা বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় চীনা বাদাম করেছি। এবার চীনা বাদামের অনেক চাহিদা রয়েছে। অল্প খরচে বাদাম চাষে লাভ বেশি। জমিতে বাদামের ফলন দেখে অনেক কৃষক আগামীতে বীজ নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

রামনগর ইউনিয়নে বাদাম প্লট পরিদর্শন করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন মজুমদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. জুলফিকার হায়দার, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সফিক উল্যাহ।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সফিক উল্যাহ বলেন, সরেজমিনে মাঠে গিয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

দাগনভূঞা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, চিনাবাদাম একটি স্বল্পমেয়াদি অর্থকরী ফসল। গত বছরের তুলনায় এবার অত্র উপজেলায় চিনা বাদামের আবাদ বেড়েছে। এটি একটি উৎকৃষ্ট ভোজ্য তেলবীজ। চিনা বাদামের ফুল মাটির উপরে ফুটলেও গর্ভাশয়ের নিচের যে বৃত্তটি শুঁটি গঠন করে, সেটি মাটির নিচে চলে যায় এবং সেখানে পুষ্ট হয়ে বাদামে পরিণত হয় । হাল্কা, ঝরঝরে দোঁয়াশ মাটিতে বাদাম চাষ করা উচিত। ফলে চিনা বাদাম চাষাবাদে খরচ কম হওয়ায় আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষকরা।

আফ/দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More