চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুর বাজারে কাপড়ের দোকানে দর কষাকষিকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে দুই যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার ভালাইপুর মোড়ে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন– আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে আলমসাধু চালক সজল আলী (২৭) ও একই গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে এনজিও কর্মী মামুন অর রশিদ (২৪)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে ভালাইপুর বাজারের আসাবুলের দোকানে কাপড় কিনতে গিয়ে কাপড়রের দোকানের দরকষাকষি নিয়ে কর্মচারী ইমনের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয় সাবিনা খাতুন নামে এক নারীর। এ ঘটনার সূত্র ধরে সাবিনা খাতুনের ছেলে টিপু তার বন্ধুরা দোকান কর্মচারী ইমনের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাই। সে সময় উভয়পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে সেখান থেকে চলে আসেন টিপু ও তার বন্ধুরা। এরপর বিকেলে ভালাইপুর বাজারে চা খেতে গেলে দোকান কর্মচারী ইমনসহ কয়েকজন টিপু মিয়ার বন্ধু মামুন ও সজলের উপর হামলা চলায়। এ হামলায় ছুরিকাহত হয় মামুন ও সজল। তাদের দুইজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে নেয়ার পর মৃত্যু হয় মামুন ও সজলের।
ভালাইপুর গ্রামের বাসিন্দা টিপু মিয়া বলেন, বিকেলে আমার মা সাবিনা খাতুন ভালাইপুর মোড়ে আসাবুল গার্মেন্টস ও বস্ত্রালয়ে কাপড় কিনতে যান। কাপড়ের দাম জিজ্ঞেস করলে ৮২ টাকা বলে কর্মচারী ইমন। আমার মা ৮০ টাকায় কাপড়টি চাইলে বিষয়টি নিয়ে ওই কর্মচারীর সাথে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে কাপড় পরিমাপের স্কেল দিয়ে আমার মাকে আঘাত করে দোকানের কর্মচারী ইমন। আমার মাকে গালিগালাজ করে দোকান থেকে বের করে দেয় সে। পরে সবার উপস্থিতিতে বিষয়টি মিমাংশা হয়। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আমিসহ আমার বন্ধু মামুন ও সজল ভালাইপুর বাজারে চা পান করতে যায়। এসময় আশাবুলের দোকানের কর্মচারী ইমন, সানোয়ার ও আকাশসহ কয়েকজন আমাদের উপর হামলা চালায়। পরে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম হন সজল ও মামুন। তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সজল।
সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসানুর রহমান জানান, জরুরী বিভাগের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সজল। মামুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী রেফার্ড করা হয়। রাজশাহী নেয়ার আগেই সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, নিহতদের মরদেহ সদর হাসপতাল মর্গে রাখা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালাচ্ছে।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ