নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দাপুটে জয় দিয়ে শুরু করা পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে ড্র দিয়ে টি–টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করেছে। মাঝে এক ম্যাচ ভেসে গেছে বৃষ্টিতে, নয়তো দু’দলের যে কারো পক্ষে যেতে পারত সিরিজটা। তবে তুলনামূলক দুর্বল দল নিয়েই পাকিস্তান সফরে গেছে কিউইরা। পিছিয়ে পড়েও শেষ দুই ম্যাচে তারা দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে হারের ম্যাচেও রেকর্ড গড়েছেন পাক পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) উইকেটকিপার ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানের দুর্দান্ত এক ইনিংসে (৯৮) ভর করে টম ল্যাথামের দলকে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় পাকিস্তান। তাড়া করতে নেমে শুরুতেই জোড়া ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। প্রথম ওভারেই শাহিন আফ্রিদি টম ল্যাথাম ও উইল ইয়াংকে ফিরিয়ে দেন।
চাপে পড়া সেই ম্যাচের চিত্র সম্পূর্ণ পাল্টে দেন মার্ক চ্যাপম্যান ও জিমি নিশাম। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া চ্যাপম্যান শতক পূর্ণ করতে খেলেন মাত্র ৫৪ বল। এছাড়া ২৫ বলে ৪৫ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেছেন নিশাম। যাতে ভর করে ৪ বল এবং ৫ উইকেট বাকি থাকতেই কিউইরা লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ম্যাচে প্রথম দুই উইকেট নেওয়া বোলার শাহিন আফ্রিদিকে বেদম প্রহার করেছেন চ্যাপম্যানরা। নির্ধারিত ৪ ওভারে শাহিন ৪৮ রান খরচা করেছেন।
তবে প্রথম উইকেট নেওয়ার পর মাইলফলক স্পর্শ করেন আফ্রিদি। ল্যাথামের উইকেট দিয়ে এই পাকিস্তানি পেসার ১৪৩টি আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে ২০০তম উইকেট পেয়েছেন। যা আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম। একইসঙ্গে ২০০তম উইকেট পাওয়ার ক্ষেত্রে ২৩ বছর বয়সী আফ্রিদি সর্বকনিষ্ঠ বোলার। তার আগে ফাস্ট বোলারদের মধ্যে স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে দ্রুততম ২০০ উইকেট ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদার। ২০০ উইকেট পেতে তিনি খেলেছেন ১৪৬ ম্যাচ।
সব মিলিয়ে ২০০ উইকেটে দ্রুততম রশিদ খান। আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে ২০০ উইকেট নিতে খেলেছেন ১৩৪ ম্যাচ। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তানের সাবেক স্পিনার সাঈদ আজমল। ২০০ উইকেট পেতে তার লেগেছে ১৩৯ ম্যাচ। তাদের পরই যথাক্রমে অবস্থান শাহিন আফ্রিদি ও রাবাদার। পঞ্চম স্থানে থাকা সাবেক পাকিস্তানি পেসার উমর গুল ২০০ উইকেট নিয়েছেন ১৪৭ ম্যাচে।
এমি/দীপ্ত