শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আদালত প্রাঙ্গনে ন্যায়কুঞ্জ বিশ্রামাগার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

দীপ্ত নিউজ ডেস্ক
4 minutes read

মাগুরায় আদালত প্রাঙ্গনে আগত বিচার প্রার্থীদের জন্য নির্মিত ন্যায়কুঞ্জ বিশ্রামাগার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে মাগুরা জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গনে বিশ্রামাগার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

এ সময় মাগুরা জেলা দায়রা জজ অমিত কুমার দে, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, জেলা পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা, জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার হোসেন, মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাবলু , সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান সংগ্রাম ও সমিতির আইনজীবীরাসহ সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন শেষ প্রধান বিচারপতি হাসান হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, এ দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ বিভিন্ন মামলার সাথে জড়িত। তাদেরকে নিত্যদিন আদালত প্রাঙ্গনে আসা লাগে। তারা এ রাষ্ট্রের মালিক। তাদেরকে আমাদের বিচারক সেবা দেয়া দায়িত্ব। যদিও রাষ্ট্রের মালিক তারাই। তারা যখন আদালতে আসে তারা কোথায় বসবে বারে সংকলন হয় না। ইতস্তত ঘুরতে থাকে।

বিশেষ করে যখন মহিলারা আসে দূর দূরান্ত থেকে সাক্ষী দিতে অথবা তাদের পরিজনদের যারা আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকে তাদের সাথে দেখা করার জন্য। তাদের দুঃখ কষ্ট তারা যাতে এখানে এসে অস্বস্তিবোধ না করে সেটা সরাও করার জন্য আমরা তাদের বসার জায়গা অর্থাৎ বিশ্রামাগার করার সিদ্ধান্ত নেই। সে অনুসারে আমরা এটার নাম দেই ন্যায়কুঞ্জএখানে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন লোকের বসার ব্যবস্থা থাকবে। দুটি টয়লেট থাকবে একটি মহিলাদের জন্য একটি পুরুষদের জন্য।

এছাড়া একটি ফাস্টফুডের দোকান থাকবে। এতে করে যারা এ রাষ্ট্রের মালিক এখানে এসে স্বস্তিতে কিছু সময় কাটাতে পারে বসতে পারে। যে জায়গাটা আমাদের এবং আমাদের বিচারের জন্য এ আদালত এবং আমাদের বিচারক সেবা দেয়ার জন্য বিচারক বৃন্দ এই ধারণা থেকেই ন্যায়কুঞ্জ করা । আপনারা সবাই দোয়া করবেন যাতে করে অতিসত্বর এটার কাজ কমপ্লিট হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আমাদেরকে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা দিয়েছেন অর্থাৎ প্রতি জেলায় আমরা প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারব। এছাড়া বাকি যে টাকা থাকবে আমরা চৌকিতে ন্যায়কুঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেখানে ন্যায়কুঞ্জ হবে। আমার মনে হয় অতি সাধারণ মানুষ যারা আদালত প্রাঙ্গণ আসে তাদের জন্য উপকারে আসবে।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষের প্রধান বিচারপতি জেলা আদালত প্রাঙ্গণে একটি লিচু গাছের চারা রোপন করেন। পরবর্তীতে বিচারক ও জেলার আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এফএম/দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More