খুলনার কয়রায় ‘দশের বোঝা একের লাঠি’, প্রাচীনতম এই প্রবাদটিকে মাথায় রেখে কয়রা পাথরখালী মিলনী যুব সংঘের সদস্যরা এলাকার মানুষের চলাচলের সমস্যা সমাধানে এবার তৈরী করল ভাসমান সেতু। ভাসমান এই সেতু নির্মাণের ফলে ১৪ বছরের ভোগান্তি শেষ হলো সেতুর দু’ পাড়ের ৫ গ্রামের মানুষের।
গত ১৫ মার্চ ভাসমান সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু করে। ২ এপ্রিল দুপুরে নির্মাণকাজ শেষ হয়। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সেতুটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ ও ২২০ মিটার চওড়া একটি খাল আছে, যেটি পাথরখালী খাল নামে পরিচিত। এই পাথরখালী খালের পানির মধ্যে সারি সারি বাশেঁর খুটি লাল, সবুজ আর সাদা রংঙের ঝিলকিনের মাঝখানে পানিতে আড়াই’শ লিটারের ৭০টি ড্রামের ওপর ভাসছে ১৯৮ ফুট দীর্ঘ এই ভাসমান সেতু। এই সেতু আশপাশের পাঁচ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ সহজ করেছে।
সেতুটির নির্মাণে ব্যয় হয়েছে দুই লাখ সাত হাজার টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা অনুদান পাওয়া যায়, বাকি ৬৭ হাজার টাকা পাথরখালী মিলনী যুব সংঘের পক্ষ থেকে যোগান দেওয়া হয়। সেতুটি নির্মাণ করতে প্লাস্টিকের ড্রাম পাশাপাশি ১৩০ সিএফটি শিরীষ কাঠ, ৩০টি বাঁশ এবং ২০ কেজি পেরেক ব্যবহার করা হয়েছে।
সেতুটি উদ্বোধন করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সরদার নুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, যুবকদের এই উদ্যোগ নি:সন্দেহে একটি ভাল কাজ। অস্থায়ী হলেও এই সেতু প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ করবে। এ ধরনের কাজের জন্য স্থানীয় যুবকদের উৎসাহী করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এখানে আবারো একটি স্থায়ী সেতু নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন কোয়ালিশনের ব্যাবস্থাপক মোঃ সাইদুর রহমান ও সিএনআরএস প্রতিনিধি মোঃ হারুন অর–রশিদ। সেতুটি দেখতে প্রতিদিন এখানে ভিড় করছে অনেক দর্শনার্থী।
অনু/দীপ্ত সংবাদ