নওগাঁর রাণীনগরে উৎপাদিত লাল মরিচ বাজারে সাড়া ফেলেছে। বর্তমানে দিগন্তজোড়া মরিচের মাঠে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কাঁচা ও লাল মরিচ। বর্তমানে ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীর তীরে মরিচ চাষে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে মরিচ চাষীরা। নদীর দু’পাড়ের পলি ও বেলে–দোঁআশ মাটির উর্বর জমিতে এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। কিছুদিন আগেও মরিচের বাজারে যে আগুন লেগেছিলো বর্তমানে মরিচের দাম কিছুটা কমার কারণে স্বস্তি ফিরেছে।
বর্তমানে বাজারে প্রকার ভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৮০–৯০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালো ফলন ও বেশি দাম পেয়ে বেজায় খুশি উপজেলার মরিচ চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে আগামীর দিনগুলোতে মরিচের ফলন আরো বেশি হবে ফলে বাজারে দাম আরোও কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন চাষীরা।
উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মরিচ চাষী জাহাঙ্গির আলম জানান , এবার মরিচের দামে আমি অনেক খুশি। বর্তমানেও বাজারে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। আর সঠিক পরিচর্যা আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার মরিচের ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। এখন পর্যন্ত জমিতে মরিচের গাছও অনেক ভালো অবস্থায় আছে তাই আগামীতেও ফলন অনেক ভালো পাবো বলে আশা করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। এবার আবহাওয়া ভালো থাকায়, ভারী বৃষ্টিপাত ও রোগবালাইয়ের তেমন একটা আক্রমণ না থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন পাচ্ছে মরিচ চাষীরা। এছাড়া বাজারে ভালো দাম চাষীদের মরিচ চাষে আগ্রহটাকে আরো কয়েকগুন বৃদ্ধি করেছে। এখন পর্যন্ত মরিচের গাছে যে পরিমাণ মরিচ ধরে আছে তাতে করে আগামীতে বাজারে মরিচের সরবরাহ আরো বৃদ্ধি পাবে এবং দামও কমে যাবে বলে আমি আশাবাদি। কম সময়ে, কম কীটনাশক ও সার ব্যবহার করে কিভাবে মরিচ চাষে লাভবান হওয়া যায় সেই দিকটা লক্ষ্য রেখেই আমরা কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদেরকে সব সময় পরামর্শ দিয়ে আসছি।
যূথী/দীপ্ত সংবাদ